দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ বিওপি ঘাটতি

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২২, ১৩:০৮

সাহস ডেস্ক

আমদানি ব্যয় বিপুল পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ ব্যালেন্স অব পেমেন্ট (বিওপি) ঘাটতি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সোমবার (০১ আগস্ট) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  দেশে ১৮ দশমিক ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চলতি হিসাবের বিওপি ঘাটতি হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। তাছাড়া দেশের ইতিহাসে এর আগে কোনো অর্থবছরে এত বড় বিওপি ঘাটতি দেখা যায়নি।

অর্থনীতি বিশ্লেষকেরা বলছেন, আমদানি বাড়ায় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর অবনতি হয়েছে। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক, অর্থনীতিবিদ ও গবেষক আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, এই ঘাটতি সামষ্টিক অর্থনীতির উদ্বেগজনক অবস্থার বহিঃপ্রকাশ।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমদানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক লেনদেনে এই বিশাল ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এটা সত্য যে আমদানি বাড়ার একটা ইতিবাচক দিক আছে। দেশে বিনিয়োগ বাড়ে; কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। অর্থনীতিতে গতি আসে। কিন্তু প্রায় ১৯ বিলিয়ন ডলারের ভারসাম্য পরিশোধের ঘাটতি সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। এই ঘাটতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিতিশীলতা বা সংকট দেখা দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের জিনিসের জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি এই আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এই ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতিও বাড়ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে সংকট বাড়ছে।’ এ অবস্থায় আমদানি কমাতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন মনসুর।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে,  ঘাটতি নিয়েই শুরু হয়েছিল বিদায়ী ২২ অর্থবছর। জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। চার মাস শেষে (জুলাই-অক্টোবর) তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। এভাবে প্রতি মাসেই আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে ভারসাম্য ঘাটতি।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত