সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে রাবির আবাসিক শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১১:৩৬

মারুফ হাসান মিশন, রাবি

প্রায় ২০০ মিটারের একটি রাস্তা। রাস্তার দুই পাশে অবস্থিত ৬টি আবাসিক ছাত্রী হল। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি বেঁধে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে রাস্তাটি। ভোগান্তি পোহাতে হয় বৃষ্টিমুখর প্রতিটি দিনেই। কাদা আর ঘোলা পানিতে একাকার হয়ে থাকে বর্ষাকালের অধিকাংশ সময়। রবিবার (০৭ আগস্ট) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রী হলগুলোর সামনের রাস্তায় এমন জলাবদ্ধতার চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোকেয়া হল থেকে শুরু করে মন্নুজান হল পর্যন্ত পুরো রাস্তাটাই জলে নিমজ্জিত। সড়ক নাকি ডোবা তা বোঝা মুশকিল। রাস্তা নিচু হওয়ায় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে প্রতিবছরই। অতি সাবধানে জলাবদ্ধ রাস্তার উপর দিয়ে ক্যাম্পাসে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অনেককে পড়ে ব্যাথা পেতেও দেখা গেছে। অনেকেই আবার পড়ে যাওয়ার ভয়ে বৃষ্টি চলাকালীন পুরো সময়টা হল থেকে বের হননা।

ছাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এটা  নিত্যদিনের ঘটনা। বৃষ্টি আসলেই এমন জলাবদ্ধতা সব সময় সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে প্রশাসনকেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। জলবদ্ধতার কারণে এক দিকে যেমন ছাত্রীরা হল থেকে বের হচ্ছে না, অন্যদিকে পড়ালেখার পরিবেশও ব্যহত হচ্ছে বলে জানান তারা।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী পপি রাজবংশী শ্রাবন্তী বলেন, বৃষ্টির জলে রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আমাদের ক্লাসে  যাতায়াতের সমস্যা হয়। বৃষ্টির দিনসহ পরবর্তী দিনেও কাদা আর ঘোলা পানি ঠেলে যেতে হয় ক্লাস করতে। সময়মত ক্লাসে যাওয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়। বৃষ্টি হলে রিক্সার ভাড়াও বেশি নেয়। বৃষ্টির জল রাস্তায় জমার ফলে আমরা ভোগান্তির শিকার হই।

বেগম খালেদা জিয়া হলের শিক্ষার্থী নিলুফা আক্তার বলেন, হলগুলোর সামনের রাস্তাটা ভেঙ্গে গিয়েছে। বৃষ্টির দিনে রাস্তায় চলাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বৃষ্টির জল রাস্তার দুপাশে জমে থাকে। আমরা বাজার করতে যেতে পারিনা। ক্লাসে যাওয়ার সময় কাপড় ভিজে যায়। তাছাড়া যখন রিক্সা চলে তখন কাদা-পানি ছিটকে এসে গায়ে লাগে। এতে কাপড় নষ্ট হয়। কয়েকদিন আগে রাস্তার পাশে অস্থায়ী ড্রেন করলেও পানি নিষ্কাশনে অনেক দেরি হয়। দুর্ভোগ কমাতে অবিলম্বে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এ শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে জানতে হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড.ফেরদৌসী মহল বলেন, রাস্তার দুপাশে ড্রেনের কাজ চলমান। রাস্তার থেকে ড্রেন গুলো উচু থাকায় সামান্য বৃষ্টি আসলেই রাস্তাগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এদিকে ড্রেনের কাজ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত রাস্তার কাজ ধরা যাবে না। ড্রেনের কাজ সমাপ্ত হলেই রাস্তা নির্মাণের কাজ ধরা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে অবগত আছি এবং আমি নিজে রাস্তাটা পরিদর্শন করেছি। শেখ হাসিনা হলের কাজ চলমান থাকায় আমরা স্থায়ীভাবে রাস্তাটা করতে পারছি না। তবে আমি প্রধান ইঞ্জিনিয়ারকে বলে রেখেছি আজ-কালকের মধ্যে যেন ইট-পাথর ও সুরি দিয়ে আপাতত রাস্তাটা উচু করে দেয়। যাতে রিকশা যাতায়াত করতে পারে। শেখ হাসিনা হলের কাজ শেষ হলেই স্থায়ীভাবে রাস্তাটির কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

সাহস২৪কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত