গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টিতে নাজেহাল জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:০১

আসাদুজ্জামান আপন, জবি

ঋতুতে বর্ষাকাল শেষ হলেও শরতের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ধরনের হালকা থেকে অতি ভারী বর্ষণে অতিষ্ট জনজীবন। সেই সাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা এমন বৈরী আবহাওয়াতে পড়েছেন চরম বিপাকে। ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটছে নানান ভাবে।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের দৈনন্দিন রুটিন মাফিক ক্লাস-পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়ার উদ্দেশ্য রওনা হলেও বৃষ্টির কারণে নাজেহালের মধ্যে পড়ে অনেকেই।

ভারতের মধ্যপ্রদেশে অবস্থানরত নিম্নচাপের প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি গত কয়েক দিন ধরেই চলছে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ, চাকুরীজীবী, খেটে খাওয়া মানুষসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপর।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাইরে থাকায় সকালে ক্যাম্পাসে আসতে ধকলের মধ্যে পড়তে হয়। ভিজে যাচ্ছে জামাকাপড়, সঠিক সময়ে পাড়ছেনা ক্লাসে উপস্থিত হতে। মিরপুর থেকে আসা এক শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস নাঈমা জানান, বৃষ্টির দিনে গাড়ির সংখ্যা কম থাকে, ভার্সিটির বাস ধারার জন্য আগে থেকেই স্টপেজে আসতে হয়। বৃষ্টি হওয়াতে যা অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে ভারি বৃষ্টির কারণে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাফেরায় অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া বিনতে ইউসুফ জানান, পানি জমে থাকায় ঠিক মতো হাঁটা যায় না, বোরকা নিচ থেকে ভিজে কাঁদা লেগে যায়। যা পড়ে ক্লাস করা যায় না।

এছাড়া বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা থাকায় ঠিক সময়ে আসতে হিমশিম খাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। হটাৎ বৃষ্টিতে আটকে পড়ছেন তারা। এনিয়ে শিক্ষার্থী রুকাইয়া জাহান রুকু বলেন, রেডি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি, ঠিক তখনি বৃষ্টি শুরু হলো। ছাতা নিয়ে বের হলেও বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছিলাম। সঠিক সময়ে পরীক্ষায় বসতে পারিনি।

বৃষ্টির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর গুলোতে দেরি করে আসতে দেখা যায় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

উল্লেখ্য, বৃষ্টির প্রবণতা বৃহস্পতিবার থেকে কমতে শুরু করতে পারে। ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে এটি মধ্যপ্রদেশের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত