জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫

প্রকাশ | ১৯ মে ২০১৭, ১২:৩০

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৫টি ক্ষেত্রে চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫’ প্রদানের ঘোষণা করা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র অধিশাখা থেকে গত  ১৬ মে (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এক তথ্য বিবরণীতে ১৮ মে (বৃহস্পতিবার) এ কথা জানানো হয়।

২০১৫ সালের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করা ব্যক্তি/চলচ্চিত্রের নাম : আজীবন সম্মাননা : যুগ্মভাবে—শাবানা ও  ফেরদৌসী রহমান; শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র : যুগ্মভাবে—বাপজানের বায়োস্কোপ (পরিচালক মো. রিয়াজুল মওলা রিজু) ও  অনিল বাগচীর একদিন (পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম); শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর); শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক : যুগ্মভাবে—মো. রিয়াজুল মওলা রিজু  (চলচ্চিত্র বাপজানের বায়োস্কোপ) ও মোরশেদুল ইসলাম (চলচ্চিত্র অনিল বাগচীর একদিন)।

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে : যুগ্মভাবে—শাকিব খান (চলচ্চিত্র আরো ভালোবাসব তোমায়) ও মাহফুজ আহমেদ  (চলচ্চিত্র জিরো ডিগ্রি); শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে : জয়া আহসান (চলচ্চিত্র জিরো ডিগ্রি); শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে : গাজী রাকায়েত (চলচ্চিত্র অনিল বাগচীর একদিন); শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে : তমা মির্জা  (চলচ্চিত্র নদীজন); শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে : ইরেশ যাকের (চলচ্চিত্র ছুঁয়ে দিল মন); শ্রেষ্ঠ  শিশুশিল্পী : যারা যারিব (চলচ্চিত্র প্রার্থনা); শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার : প্রমিয়া রহমান (চলচ্চিত্র  প্রার্থনা)।

শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : সানী জুবায়ের (চলচ্চিত্র অনিল বাগচীর একদিন); শ্রেষ্ঠ গায়ক : যুগ্মভাবে—সুবীর নন্দী  (তোমারে ছাড়িতে বন্ধু, চলচ্চিত্র মহুয়া সুন্দরী) ও এসআই টুটুল (উথাল পাতাল জোয়ার, চলচ্চিত্র বাপজানের  বায়োস্কোপ); শ্রেষ্ঠ গায়িকা : প্রিয়াংকা গোপ (আমার সুখ সে তো, চলচ্চিত্র অনিল বাগচীর একদিন); শ্রেষ্ঠ  গীতিকার : আমিরুল ইসলাম (উথাল পাতাল জোয়ার, চলচ্চিত্র বাপজানের বায়োস্কোপ); শ্রেষ্ঠ সুরকার : এস  আই টুটুল (উথাল পাতাল জোয়ার, চলচ্চিত্র বাপজানের বায়োস্কোপ); শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার : মাসুম রেজা  (বাপজানের বায়োস্কোপ); শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : যুগ্মভাবে মাসুম রেজা (বাপজানের বায়োস্কোপ) ও মো. রিয়াজুল মওলা রিজু (বাপজানের বায়োস্কোপ); শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : হুমায়ূন আহমেদ (অনিল বাগচীর একদিন); শ্রেষ্ঠ  সম্পাদক : মেহেদী রনি (বাপজানের বায়োস্কোপ); শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক : সামুরাই মারুফ (জিরো ডিগ্রি); শ্রেষ্ঠ  চিত্রগ্রাহক : মাহফুজুর রহমান খান (পদ্ম পাতার জল); শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রতন কুমার পাল (জিরো ডিগ্রি); শ্রেষ্ঠ  পোশাক ও সাজসজ্জা : মুসকান সুমাইকা (পদ্ম পাতার জল) এবং শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান : শফিক (জালালের  গল্প)।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সাল থেকে এই পুরস্কারটি প্রদানের অনুষ্ঠান চালু হয়। পুরস্কার হিসেবে আঠার ক্যারেট মানের পনের গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। আজীবন  সম্মাননাপ্রাপ্তকে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক ও শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র  প্রযোজককে ৫০ হাজার টাকা করে, এছাড়া শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককে ৫০  হাজার টাকা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ত্রিশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।