নায়িকা না শিল্পী হতে চাইতেন ‘প্রিন্সেস টিনা খান’

প্রকাশ | ২৫ মে ২০২২, ১৬:০১ | আপডেট: ২৫ মে ২০২২, ১৬:৫৯

অনলাইন ডেস্ক

১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত যাত্রাশিল্পীদের জীবনকাহিনি অবলম্বনে নির্মিত ‘প্রিন্সেস টিনা খান’ সিনেমায় অভিনয় করে এই নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন অভিনেত্রী টিনা খান। পরবর্তিতে এই নায়িকা চলচ্চিত্রটি প্রযোজনাও করেছিলেন।

১৯৬৬ সালের আজকের এই দিনে চুয়াডাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন টিনা খান। তার আসল নাম ছিলো ফিরোজা রহমান টিনা। নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে তার সাথে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিয়ে হয়। ছোটবেলা থেকে নাচ আর অভিনয় ছিল তার ভালোবাসা। ঢাকায় আসার পর তিনি আবদুল্লাহ আল মামুনের নাট্যদলে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে, তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রিন্সেস টিনা খান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশামের ‘বিমানবালা’ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক হয় তার।

১৯৮৫ সালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিল ‘প্রিন্সেস টিনা খান’ সিনেমাটি। আরো বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। নিজ প্রযোজনায় প্রয়াত সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার আক্তারুজ্জামানকে দিয়ে যাত্রাশিল্পীদের জীবনী নিয়ে ‘প্রিন্সেস টিনা খান’ নামে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করিয়েছিলেন। সিনেমার প্রয়োজনে তার নামের শেষে যুক্ত হয়েছিল ‘খান’। টিনা খান সব সময় শিল্পী হতে চাইতেন। নায়িকা কথাটাতে তার আপত্তি ছিল। বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী হলেও ভালো সিনেমা, ভালো চরিত্রের প্রতি তার ব্যাপক আগ্রহ ছিল। কর্মজীবনে প্রায় ২৫টি বাণিজ্যিক সিনেমায় অভিনয় করতে পেরেছিলেন এই অভিনেত্রী।

তার অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘বিমানবালা’, ‘প্রিন্সেস টিনা খান’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘মৌ চোর’, ‘আয়না বিবির পালা’, ‘ লাগাম’, ‘দুই জীবন’, ‘এরই নাম প্রেম’ ও ‘একাই একশো’। ১৯৮৯ সালের ২০ জানুয়ারি নগরবাড়ী ঘাটে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যমুনা নদীতে ডুবে অকালে মৃত্যু হয় তার। কর্মজীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ত্রয়োদশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে মরণোত্তর বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।

সাহস২৪.কম/টিএ/এসটি/এসকে.