লেমুর মাদাগাস্কারের বানর

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২১, ১৪:১০

সাহস ডেস্ক
আলোকচিত্র: আবুল বাশার শিবলী

লেমুর হল মাদাগাস্কারের প্রাইমেট গোত্রভুক্ত কিছু প্রাণীর সমষ্টিগত নাম। ল্যাটিন শব্দ lemurs থেকে লেমুর শব্দটির উৎপত্তি যার অর্থ ভূতের মত। রাতের আধারে লেমুরের মুখে আলো ফেললে অনেকটা ভূতের মত দেখায় তাই এর নামকরণ এভাবে করা হয়েছে। প্রাকৃতিক ভাবে লেমুর সাধারণত আফ্রিকার মাদাগাস্কারেই দেখতে পাওয়া যায়।

আচরণ 
বড় আকারের লেমুররা সচরাচর দিনে ঘোরাফেরা করলেও ছোটগুলো নিশাচর হয়। এরা দলবদ্ধভাবে থাকে, তবে খাদ্য সংগ্রহের জন্য একা বিচরণ করে, খাদ্য গ্রহণ শেষে আবার দলে ফিরে আসে।

খাদ্য  
লেমুররা ফলভোজী প্রাণী হলেও এদের খাদ্য তালিকায় কীটপতঙ্গও থাকে। সচরাচর লেমুররা অনেক ধরনের খাদ্য গ্রহণ করে। তবে ছোট আকারের লেমুররা পতঙ্গ এবং ফলফলাদি খেয়ে থাকে। অন্যদিকে বড় আকারের লেমুররা গাছপালা ও লতাপাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে। তবে ক্ষুধার্ত লেমুররা হজমযোগ্য প্রায় সবকিছুই খেতে পারে।

সামাজিক ব্যবস্থা 
লেমুররা সামাজিক প্রাণী। তাদের একটি দলে সর্বোচ্চ ১৫টি লেমুর থাকতে পারে। দলবদ্ধভাবে থাকার পরও এদের সামাজিক অবস্থান অনেকটা স্বতন্ত্র। এরা জোড়ায় বা একাধিক পুরুষবিশিষ্ট পরিবারেও থাকতে পারে।


লেমুর নিয়ে কিছু তথ্য

  • লেমুর হচ্ছে এক ধরনের প্রাইমেট। অর্থাৎ বনমানুষ ও মানুষের সমগোত্রীয়। লাখ লাখ বছর আগ থেকেই এ প্রাণীটির অস্তিত্ব পৃথিবীতে বিদ্যমান। বিভিন্ন প্রজাতির লেমুর থাকলেও প্রত্যেকটিই আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।
  • আফ্রিকার মাদাগাস্কারেই এদের বিচরণ সবচেয়ে বেশি। তবে পার্শ্ববর্তী কোমোরো দ্বীপেও লেমুর বসবাস করে থাকে।
  • লেমুরের ছিল অসংখ্য প্রজাতি। বর্তমানে পাঁচটি পরিবারে বাস করা ৩০ প্রজাতির কিছু বেশি লেমুর খুঁজে পাওয়া যায়। এসব লেমুরের বড় প্রজাতিগুলো প্রাচীনকালেই গোরিলা বা বনমানুষ রূপে গভীর বনে বসবাস করছে।
  • সবচেয়ে ছোট লেমুর এক পাউন্ড ওজনের হয়ে থাকে। কিন্তু বড়গুলো ১৫ পাউন্ড অর্থাৎ একটি বড় বিড়ালের ওজনের সমান হয়ে।
  • লেমুর সাধারণত পানি পছন্দ করে না। মজার ব্যাপার হলো, সহজে তাই পানিতেও নামে না। সাঁতার তো জানেই না!
  • রিং টেইল প্রজাতির লেমুরের বেশিরভাগ সময় কাটে মাটিতে। বাদ বাকি সব প্রজাতির লেমুর গাছেই বসবাস করে থাকে। মূলত দলবদ্ধ প্রাণী হলেও কিছু নিশাচর লেমুর একাকী থাকে।
  • গায়ের গন্ধ দিয়েই প্রাণীটি মূলত একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। এ ছাড়া লেজও যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়

তথ্যসূত্র
নিশাচর প্রাণী লেমুর | সমকাল-অনলাইন সংস্করণ | প্রকাশ ১১ আগস্ট, ২০১৭
লেমুর | উইকিপিডিয়া | সর্বশেষ সম্পাদনা ১১ মার্চ ২০২১

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত