ব্যাঙ রক্ষায় ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের অনন্য উদ্যোগ

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২২, ২২:২৬

শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের একাংশ

গ্রামবাংলার মানুষের যাপিত জীবন এবং পরিবেশ-প্রতিবেশের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ ব্যাঙ। তাছাড়া প্রাণীকূলের মধ্যে ব্যাঙের জনপ্রিয়তাই সবচেয়ে বেশী। প্রতীক এবং ধর্মের মধ্যেও অনেক সাংস্কৃতিক ভূমিকা আছে ব্যাঙের। বর্ষায় বৃষ্টির মেঘমল্লারের সঙ্গে ব্যাঙের বিরামহীন ‘ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’ কিংবা সন্ধ্যা নামলেই ধানখেতের অল্প পানিতে কোলাব্যাঙের ডাক-গ্রামবাংলায় এখনো পরিচিত এক অনুষঙ্গ। ব্যাঙ বাঙালির সামাজিক জীবন, শিল্পসাহিত্যে, প্রবাদ-প্রবচনে যেমন এসেছে তেমনি নিয়মিতই আসে দৈনন্দিন কথাবার্তায়, উদাহরণ-উপমায়। ব্যাঙের সর্দি, কূপমণ্ডূক, ব্যাঙের ছাতা-শব্দবন্ধগুলো অহরহ ব্যবহার করি আমরা।

‘এই ব্যাঙ একদিন একটা পাথরের কোটরের মধ্যে ঢুকেছিল। তারই আড়ালে তিন হাজার বছর ছিল টিকে। এইভাবে কী করে টিকে থাকতে হয় তারই রহস্য ওর কাছ থেকে শিখছিলুম; কী করে বেঁচে থাকতে হয় তা ও জানে না। আজ আর ভালো লাগল না, পাথরের আড়াল ভেঙে ফেললুম, নিরন্তর টিকে-থাকার থেকে ওকে দিলুম মুক্তি।’-রবীন্দ্রনাথ তাঁর রক্তকরবী নাটকে ব্যাঙের পরিচয় এভাবেই দিয়েছিলেন। একটি ব্যাঙ কীভাবে খারাপ পরিস্থিতেও পৃথিবীর পরিবেশে টিকে থাকে সেই বর্ণনাটিই দেয়া আছে রবীন্দ্রনাথের নাটকে। ব্যাঙের সংস্কৃত নাম দর্দুর যা থেকে বাংলা নাম দাদুর বা দাদুরী এসেছে। আরেক নাম ভেক।

ব্যাঙ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অসংখ্য ছড়া, গল্প ও গান রচিত হয়েছে। মানব হৃদয়ের গভীরের আনন্দকে ব্যাঙের ‘ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’ এর সঙ্গে তুলনা করেছেন ব্রিটিশ কবি আরথার সায়মন্স। তার ‘দ্য অ্যাকসটেসি’ কবিতায় তারই প্রকাশ মিলেছে। তিনিও ব্যাঙ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের মতোই অনুভব করেছেন। কেবল বর্তমান সময়েই নয় প্রাচীন অনেক সংস্কৃতির মিথে আর লোককথায়ও ব্যাঙের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দেখা যায়। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় উর্বরতা আর জন্মের দেবী হেকেট। এই দেবীকে মাঝে মাঝে ব্যাঙের মাথা আর দেহ মানুব দেহের কম্পোজিট ফিগার হিসাবে দেখানো হয়ছে। পশ্চিমা মিথলজিতে প্রাক খ্রীস্টিয় বিশ্বাস অনুযায়ী ব্যাঙ হলো আত্মীক জাগরণের প্রতীক। ভূমধ্যসাগরের তীরে গড়ে উঠা প্রাচীন গ্রেকো রোমান সভ্যতাতে ব্যাঙ আফ্রেদিতি আর ভেনাসের প্রতীক অর্থাৎ প্রেম ও উর্বরতার প্রতীক। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনীতেও ব্যাঙের উল্লেখযোগ্য অবস্থান রয়েছে। ঋগবেদে বলা হয়েছে, বিশাল এক ব্যাঙ তার মাথায় বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডটা ধরে রেখেছে। আবার বৈদিক গ্রন্থ অনুসারে ব্যাঙের ডাকাডাকির কারণেই বৃষ্টিপাত হয়। এই সংস্কারটা অবশ্য বর্তমান সমাজেও প্রচলিত, এমনকি ইউরোপীয় লোকাচারেও রয়েছে। এছাড়া ব্যাঙকে বৃষ্টি আর পানির উৎস মনে করে অনেক সভ্যতা আর ধর্মে একে উপাসনা করা হতো। যখন এই প্রাকৃতিক পানিই ছিল সেচ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম, সেই সময়ে আদিম মানুষ খেয়াল করলো বৃষ্টির সাথে ব্যাঙের ডাকাডাকি আর গোষ্ঠি বৃদ্ধির একটা সম্পর্ক রয়েছে, সেই জন্যই হয়ত তারা তখন ব্যাঙকে উর্বরতা, জন্ম আর জলের টোটেম হিসাবে নির্দিষ্ট করেছিলো। আর সেই আদিম কৃষি ভিত্তিক সমাজে এটাই ছিল স্বাভাবিক। পূর্বপুরুষদের সেই রীতি কিন্তু এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন সমাজ বহন করে চলেছে! যেমন পেরু আর বলিভিয়ার আয়মারা নামক ক্ষুদ্রজাতি গোষ্ঠিরা ছোট ছোট ব্যাঙের মূর্তি বানিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় রেখে এসে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে। আমাদের বাংলাতেও প্রবল খড়ায় ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে বৃষ্টিকে আহবান করা হয়!

ব্যাঙকে পরিবেশবিদও বলা হয়ে থাকে। কথাটা মজা করে বললেও, ভেতরে বড় একটা সত্যি লুকিয়ে আছে। বিশ্বের অন্য সব প্রাণীর তুলনায় পরিবেশ-প্রকৃতি সম্পর্কে ব্যাঙ অনেক বেশি স্পর্শকাতর। পরিবেশের অনেক পরিবর্তন অনেক আগে টের পায় তারা। অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর আগেভাগে পেয়ে ডেকে ডেকে সবাইকে জানিয়ে দেয়। তাই তো ব্যাঙের আরেক নাম, ‘কয়লাখনির খুদে গায়কপাখি’ (ক্যানারিজ ইন দ্য কোলমাইন)। ডাঙায় ও পানিতে অবাধে বিচরণ করা এই উভচর প্রাণী প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্যাপক হারে পোকা দমন করতে পারার কারণে ব্যাঙকে ‘পোকা মারার প্রাকৃতিক যন্ত্র’ বলা হয়ে থাকে। একটি এলাকার পরিবেশ কেমন, তা পরিমাপে ব্যাঙ সূচক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ব্রিটিশ গবেষকের গবেষণায় ভূকম্পন পূর্বাভাস হিসেবে ব্যাঙ ভূমিকা পালন করে বলেও উঠে এসেছে। ব্যাঙ ডেঙ্গু, গোদ রোগ, কলেরা, টাইফয়েড, এনথ্রাক্স ও ম্যালেরিয়ার মতো শত শত ভয়ঙ্কর রোগবাহী কীটপতঙ্গ খেয়ে এসব রোগকে নিয়ন্ত্রণ করছে। সবদিক বিবেচনায় ব্যাঙ প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের পরম বন্ধু।

যে ব্যাঙ নিয়ে এতকিছু সেই ব্যাঙেরা আজ ভালো নেই। ব্যাপকহারে ব্যাঙের আবাসস্থান ধ্বংস, পরিবেশ দূষণ ও কৃষিক্ষেতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার, খাওয়ার জন্য অতিরিক্ত হারে প্রকৃতি থেকে ব্যাঙ সংগ্রহসহ নানা কারণে পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ব্যাঙ আজ সংকটাপূর্ণ অবস্থায়। আর আমাদের দেশে এই অবস্থা খুবই নাজুক। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) ২০১৫ সালের রেড লিস্ট বা লাল তালিকা অনুসারে, বাংলাদেশে ৪৯ প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে। এর মধ্যে ১০ প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে বিপন্ন অবস্থায়। পরিবেশবাদী সংগঠন ন্যাচার আই জানিয়েছে, বাংলাদেশে ব্যাঙের প্রজাতি মাত্র ৬৩টি। দু’দশক আগেও সমগ্র বরেন্দ্র অঞ্চলে এই ৬৩ প্রজাতির মধ্যে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ প্রজাতির ব্যাঙের দেখা মিলত। এখন বড় জোর ২০ থেকে ২৫ প্রজাতির ব্যাঙের দেখা মেলে। তাছাড়া প্রখর খরার কবলে পড়েও প্রতিবছর বিরল প্রজাতির অনেক ব্যাঙ মারা যায়।

প্রিয় ব্যাঙের ছবি এঁকে হাস্যোজ্জ্বল এক শিশু শিক্ষার্থী

প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশের এই পরম বন্ধুকে রক্ষায় প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শেষ শনিবার পালিত হয় ‘বিশ্ব ব্যাঙ রক্ষা দিবস’ হিসেবে। এ বছর এপ্রিলের ৩০ তারিখ সারাবিশ্বে ব্যাঙ দিবস পালন করা হয় তবে ঈদের বন্ধের কারনে বাংলাদেশে বিভিন্ন সংগঠন ২২ ও ২৩ মে ব্যাঙ দিবসের আয়োজন করে। এ বছর মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় পরিবেশ গবেষণায় দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ‘ইসাবেলা ফাউন্ডেশন’র ব্যাঙ দিবসের আয়োজনটি ছিলো বেশ সারা জাগানো। উপজেলার মাধবকুণ্ড উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষ্মীছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধবকুণ্ড পান পুঞ্জি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় মানুষেরা এই আয়োজনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের নিয়ে মাধবকুণ্ড সড়কে শোভাযাত্রা বের করে ‘ইসাবেলা ফাউন্ডেশন’। শোভাযাত্রায় অংশ নেয়াদের হাতে ‘ব্যাঙ শিকার বন্ধ করি, পরিবেশ রক্ষা করি’; ‘রক্ষা পেলে ব্যাঙের আবাস, আমরা পাবো সুন্দর নিবাস’; ‘প্রকৃতিতে থাকেলে ব্যাঙ, বাঁচবে কৃষক, বাঁচবে গ্রাম’; ‘কীটনাশকের অতি ব্যবহার, ধ্বংস করে ব্যাঙের পরিবার’; ‘বর্ষাকালে ডাকে ব্যাঙ, ঘ্যাঙ্গোর ঘ্যাং ঘ্যাঙ্গোর ঘ্যাং’-লেখা সচেতনতামূলক প্লাকার্ড দেখা যায়।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীদের একাংশ

এরপর শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হয় ব্যাঙ লাফ প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগীতা। প্রতিযোগিতার সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে রং পেঞ্ছিল, পেঞ্ছিল কাটার, ইরেজার, খাতা বিতরণ করা হয়। প্রতিযোগীতা শেষে আয়োজিত পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোদাচ্ছির আলী।

ক্রেস্ট ও সনদপত্র হাতে প্রতিযোগীতার বিজয়ীরা

মাধবকুণ্ড উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে খন্দকার মোদাচ্ছির আলী বলেন, ‘ব্যাঙ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। ইসাবেলার আয়োজনে এই এলাকার ক্ষুদে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা ব্যাঙের জীবনচক্র সম্পর্কে এবং ব্যাঙের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। এর জন্য আমি ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ অনুষ্ঠানে দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ব্যাঙসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী রক্ষায় আমরা বন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কাজ করে আসছি।’ অনুষ্ঠান শেষে সকল শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা ‘আমরা ব্যাঙ মারবো না এবং বড় ছোট সবাইকে ব্যাঙ সম্পর্কে সচেতন করব’-বলে শপথ বাক্য পাঠ করেন। আয়োজনটির সহযোগী সংগঠন হিসেবে ‘সেভ দ্যা ফ্রগ’-এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাঙ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় নিয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনা করছেন ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের বন্যপ্রাণী গবেষক সাবিত হাসান

এর আগে ব্যাঙ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় নিয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনা করেন ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের বন্যপ্রাণী গবেষক সাবিত হাসান। তরুণ এ গবেষক বলেন, ‘ব্যাঙ বিষাক্ত পোকামাকড় খেয়ে আমাদের কৃষির জমিকে রক্ষা করে। বাংলাদেশ থেকে দীর্ঘ সময় বিদেশে প্রচুর ব্যাঙ পাচার করা হয়েছে। এছাড়াও বন উজাড়, রাস্তায় গাড়ি চাপা পড়া, বিনা কারণে হত্যা, খাবারের জন্য হত্যা ব্যাঙের প্রধান হুমকি। বাংলাদেশ থেকে অনেক ব্যাঙ হারিয়ে গেছে আর যে সংখ্যক ব্যাঙ বর্তমানে আছে তাও বিলুপ্তির পথে।’

ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের পরিচালক (প্রশাসন) ফজলে রাব্বি জানান, ‘ব্যাঙ একটি কৃষিবান্ধব প্রাণী কিন্তু ফসলের জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরতার মতই বিপন্ন হয়ে পড়েছে প্রকৃতির পরম বন্ধু ব্যাঙ। প্রায় ২০ বছর আগে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার উদ্দেশ্যে সরকার ব্যাঙ ধরা এবং বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করেছে। ব্যাঙ এমন একটা প্রাণী যার কোনো অপকারিতা নেই। পরিবেশের ভারসাম্য রাখতে ব্যাঙ টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই ইসাবেলা ফাউন্ডেশন কেবল ব্যাঙ দিবসেই এরকম আয়োজন সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না। বছরের অন্যান্য সময়ও এরকম সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু রাখবে’।

ব্যাঙের ছবি তুলছেন ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার

ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের ব্যাঙ দিবসের আয়োজন নিয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার জানান, ‘প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পরিবেশের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার পাশাপাশি বন্যপ্রাণী রক্ষার প্রয়োজনীয়তা স্থানীয় মানুষদের বোঝাতে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এবারের ব্যাঙ দিবসের এমন আয়োজনটি এই উদ্দেশ্যেই করা হয়’। অনুষ্ঠানে শিশুদের অংশগ্রহণের বিষয়ে  তিনি বলেন, ‘ইসাবেলা ফাউন্ডেশন শিশুদের এ বিষয়ে শিক্ষিত করে তুলতে চায়। তারা প্রকৃত শিক্ষা পেলে ভবিষ্যতে আমাদের দায়িত্বটা তাদের কাধে তুলে দেয়া যাবে’।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত