কুড়িগ্রাম বন্যা: কমেছে পানি, বেড়েছে ভাঙন

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২২, ১৪:৩০

সাহস ডেস্ক

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। তবে বানভাসিদের কষ্ট রয়েই গেছে। বাড়িঘর থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করলেও নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন না তারা। আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। এছাড়া এক সপ্তাহ ধরে জেলার সবকটি নদ-নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। একদিকে বন্যার চাপ অন্যদিকে নদী ভাঙন। এতে বন্যার্ত ও নদী পাড়ের মানুষের মধ্যে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙনের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।

এছাড়া দেখা দিয়েছে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ। অনেক এলাকায় খাদ্য সংকট দেখা দিলেও সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে যে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছে বানভাসিরা। অনেকেই একবার ত্রাণ পেলেও আরও প্রয়োজন বলে জানান। একদিকে বন্যার চাপ অন্যদিকে নদী ভাঙন। এতে বন্যার্ত ও নদী পাড়ের মানুষের মধ্যে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (০৪ জুলাই) বিকালে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদের ২২টি পয়েন্টে এখন ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙা ইউনিয়নের পাড়ামৌলা,ঘড়িয়ালডাঙা ও খিতাব খাঁ এলাকা, সদর উপজেলার ধরলা নদীর ভাঙনে হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রাম এবং উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনে বজরা গ্রামে দেড় শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙনের ফলে আরও অনেক ঘর বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনা হুমকিতে রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তা ও ধরলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে তীব্র নদী ভাঙন চলছে। তবে ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন পয়েন্টে বালুর বস্তা ফেলে নিবারণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সাহস২৪.কম/এ এম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত