লোহাগড়ায় মধুমতির ভাঙনে বসত ভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৪৫

জান্নাতুল বিশ্বাস, লোহাগড়া

মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের কবলে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। উপজেলার শালনগর, জয়পুর, ইতনা, কোটাকোল ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে মধুমতি নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনরে ফলে ভিটে মাটি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হচ্ছে ভাঙনের কবলে পড়া মানুষদের। মধুমতি নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও পাকা রাস্তা মধুমতি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। 

নদী ভাঙ্গনরে ভয়ে ভাঙন কবলতি গ্রামে বসবাসকারী লোকজন তাদরে বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন ধরনরে গাছপালা কেটে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মাকড়াইল গ্রামের সরকারী প্রাথমকি বিদ্যালয়ের একাংশ ইতোমধ্যে নদীতে ভেঙে গেছে এবং ওই গ্রামে অবস্থতি বাংলালিংকের মোবাইল টাওয়ার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শিয়েরবরের হাট রক্ষার জন্য নদীতে বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও সম্প্রতি নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী হাটটি। একই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, মন্ডলবাগ সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়, মল্ডলবাগ আল-নুর জামে মসজদি, নওখোলার আল-হেরা দাখিল মাদ্রাসা, চাকশি সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয় ও রামচন্দ্রপুর গ্রামরে একটি মসজিদসহ শতাধিক বাড়ি ঘর ও ফসলি জমি।

নদী ভাঙ্গনরে শিকার মন্ডলবাগ গ্রামরে নূর মোহাম্মদ ও কামরুল শেখ জানান, এ বছর মধুমতি নদী ভেঙে গ্রামের পাকা রাস্তা, বসতভিটা গাছপালা ও ফসলী জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চর খোলাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জিন্না মিয়া, সাত্তার মিয়াসহ অনেকে জানান, ওই গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী নওখোলা, চরশালনগর, চরকাশিপুর গ্রামের শতাধিক পরিবার বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে নদীর ওপারে বসবাস করছে। এই মুহুর্তে শিয়েরবরের হাট ও নদী ভাঙন কবলিত গ্রামগুলো রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করলে এলাকার মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, নদী ভাঙনের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যেবক্ষণ করা হচ্ছে। যদি কোন জনগুরুত্বর্পুন স্থাপনা নদী ভাঙনের শিকার হয় তা রক্ষার্থে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লোহাগড়া উপজেলায় নদী ভাঙন কবলিত স্থানসমূহ রক্ষার্থের একটি প্রকল্পের অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় কারিগারি কমিটি কর্তৃক যেভাবে সুপারিশ প্রদান করা হবে তার আলোকে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করে নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত