আটজনের মধ্যে একজন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১৯:২০
স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশই নিরাময়যোগ্য বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বে প্রতি আটজনে একজন নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বাড়ছে স্তন ক্যানসারের রোগীর সংখ্যা, যার ৯৮ শতাংশই নারী। আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসি'র হিসেবে, নারী ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে ১৯% স্তন ক্যান্সারে ভোগেন। নারী-পুরুষ মিলে ৮.৩%।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ব স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস অক্টোবর, ২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত সচেতনতামূলক এক র্যালিতে জানানো হয়েছে - ৯ শ্রেণির নারীর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
১. বয়স ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলে
২. স্তন ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে
৩. বেশি বয়সে প্রথম সন্তান ধারণ করা অথবা নিঃসন্তান থাকা
৪. সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো
৫. দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল বা বড়ি খাওয়া
৬. ১২ বছর বয়সের আগে প্রথম ঋতুস্রাব হওয়া অথবা ৫০ বছর পরে গিয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া।
৭. অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাদ্যাভ্যাস
৮. ধূমপান, মদ্যপান এবং তামাকজাতীয় দ্রব্যে আসক্ত থাকা
৯. দীর্ঘদিন তেজস্ক্রিয় পদার্থের সংস্পর্শে থাকা।
ওয়াক ফর পিংক এর কো-অর্ডিনেটর ডা. উম্মে হুমায়রা কানেতা জানান, গত দুই বছরে তারা অনলাইন-অফলাইনে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে স্তন ক্যানসার ও জরায়ু মুখের ক্যানসার সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ক্যানসারের কথা শুনলেই অনেকেই আঁতকে ওঠেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই জানেন না এটি প্রতিরোধযোগ্য। এ সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো জানা না থাকায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিগুলো কাদের মধ্যে বেশি, প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী কী এবং যেসব নারী ঝুঁকি বহন করছেন, তারা কীভাবে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজে বিপদ এড়িয়ে চলতে পারেন, এ নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা এখন সময়ের দাবি।
সাহস২৪.কম/এমআর