আজ বিশ্ব ভালবাসা দিবস

প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:১১

সাহস ডেস্ক

আগুন রাঙা ফাগুনের পর দিন এসেছে ভালোবাসা দিবস। দক্ষিণা হাওয়া হৃদয়ে বুনে দেবে ভ্রমর গুঞ্জন। অমরাবতীর তীর ছুঁয়ে স্বর্ণরেণু পলকে মেখে ভেসে আসবে বর্ণিল প্রজাপতি ও ভ্রমরের ঝাঁক। কারণ আজ দিবসও রজনী ভালবাসার। বিশ্ব ভালবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় ‘আমার জীবনে তুমি বাঁচো ওগো বাঁচো/ তোমার কামনা আমার চিত্ত দিয়ে যাঁচো...’ অথবা ‘তোমরা যে বল ভালবাসা ভালবাসা/সখী ভালবাসা কারে কয়...’।

কবির বাঁচা মরার এবং চিত্র দিয়ে ভালবাসা বোঝাবোঝির চিরন্তন বোধ কাল হয়তো একটু বেশিই অনুভূত হবে গোলাপ বিনিময় ও শরীরী ভাষায়।

বসন্ত বাতাসে হৃদয়ের মিথস্ক্রিয়ায় সারা বিশ্বের প্রেমপিয়াসী যুগলরা বছরের এ দিনটিকেই বেছে নেয় মনের গহিনের কথকতার কলি ফোটাতে।

চন্ডিদাসের অনাদিকালের সেই সুর‘দুহঁ করে দুহঁ কাঁদে বিচ্ছেদ ভাবিয়া/ আধতিল না দেখিলে যায় যে মরিয়া/ সখী কেমনে বাঁধিব হিয়া...’। এ আবেদনও কাল বাজবে কারও কারও হৃদয়ে।

প্রেমদেব কিউপিড এদিন প্রেমশর বাগিয়ে হৃদয় কন্দরে ঘুরে বেড়াবেন। সে অনুরাগে প্রেমপাগল প্রেমিক প্রেমিকারা পরাণ তাড়িত হয়ে বিদ্ধ হবে দেবতার বাঁকা ইশারায়। তাঁদের মনে লাগবে দোলা, ভালবাসার রঙে রাঙাবে হৃদয়। ভালবাসা উৎসবে মুখর হবে জনপদ। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও কাল পালিত হবে দিবসটি।

হৃদয়ে ভালবাসা জাগ্রত করে চোখে স্বপ্ন নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষগুলোকে সন্ধ্যায় ফুলের সুভ্রতা নিয়ে বাসায় ফিরে যাবে।

এদিকে ডিজিটালের যুগে তরুণ তরুণীরাই বেশি ক্রেজি হয়ে উঠবে দিনটি পালনে। প্রযুক্তির কল্যাণে হাইটেক ডিজিটালের যুগে মুঠোফোনের ক্ষুদ্র বার্তা, ই-মেইল অথবা ফেসবুকে পুঞ্জ পুঞ্জ প্রেমকথার কিশলয় পল্লবিত হয়ে উঠবে আজ রাত ১২টার পর থেকেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে রবীন্দ্র সরোবর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার আনাচে কানাচে এমনকি সারাদেশের পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো সরব হবে প্রেমিক-প্রেমিকাদের পদচারণায়। হয়তো কবির ভাষায় একে অন্যকে বলবে- ‘তোমাকে ভালবাসি। ভালবেসে সখী নিভৃত যতনে আমার নামটি লিখো তোমার মনের মন্দিরে...’।

পশ্চিমা দুনিয়ায় ভ্যালেন্টাইন ডে বা প্রেম উৎসব তারুণ্যের মাঝে এক অদেখা ভুবনের উত্তেজনা ছড়ায়। এদিন চকোলেট, পার্ফিউম, গ্রিটিংস কার্ড, ই-মেইল, মোবাইলের এসএমএস প্রেমবার্তা, হিরার আংটি, প্রিয় পোশাক, খেলনা মার্জার, বইয়ের ভেতরে রাখা গোলাপের ইশারা ইত্যাদি বিনিময় হয়ে উঠবে তরুণ-তরুণীদের প্রথম অনুসঙ্গ।

আমাদের দেশে ১৯৯৪ সাল থেকে দিবসটি বেশ ঘটা করে পালিত হয়ে আসছে। এদিন শুধু প্রেম বিনিময় নয়, প্রেমিক প্রেমিকাদের মধ্যে গোপনে বিয়ের হিড়িকও পড়ে।

রাজধানীর উদ্যান, বইমেলা, কফিশপ, ফাস্টফুড শপ, লং ড্রাইভ, অথবা নির্জন গৃহকোণে একান্ত নিভৃতে কাটান প্রেমকাতুর তরুণ- তরুণীরা।

দিনটি যে শুধু তরুণ-তরুণীদের তা নয়, পিতামাতা-সন্তানদেরও ভালবাসার বড়মাত্রায় উদ্ভাসিত করে। যাঁরা একটু বিজ্ঞ তাঁরা বলেন, প্রেমের কোন দিন থাকে না, ভালবাসলেই ভ্যালেন্টাইন, সেলিব্রেট করলেই ভ্যালেন্টাইন ডে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত