দুর্নীতি নিয়ে বিএনপিতে কোন রাখঢাক ছিল না

প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৮:৪১

২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপি ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন করেছে ১ বছর ১০ মাস পরে বিএনপি গঠনতন্ত্রের একটি ধারা বাদ দিয়ে সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে।

বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারার ‘ঘ’তে বলা ছিল, ‘সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি’ বিএনপির কোনো পর্যায়ের কমিটির সদস্য কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীপদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

বেগম জিয়ার সাজা হতে পারে মনে করে বিএনপি এই ধারাটি তুলে নিয়েছে। এই ধারা ব্যবহার করে বিএনপি ভাঙার চেষ্টা হতে পারে বলে মনে করছে বিএনপি।

সামরিক জান্তার দল দেশে দেশে ক্ষমতা দখলের সময় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রচার প্রপাগান্ডা চালায়। ক্ষমতা দখল পাকাপোক্ত হলে নিজেরা আষ্টেপৃষ্ঠে দুর্নীতিতে জড়ায়। দুর্নীতির বিরুব্ধে জান্তা সরকারগুলোর আদৌ কোন অবস্থান ছিল কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

দুর্নীতি নিয়ে বিএনপিতে কোন রাখঢাক ছিল না। যে যেভাবে পেরেছে সে ভাবেই দেশের সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দুর্নীতির দায়ে দলের কাউকে বহিষ্কার ও সাজা দিয়েছে এমনটিও দেখা যায়নি। দল হিসাবে আমজনতার উদ্যেশ্যে থাকা দলীয় গঠনতন্ত্রের অলংকারিক একটি ধারা বিএনপি সরিয়ে ফেলেছে।

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতা প্রত্যাশী দলগুলোর সাধারণ কর্মীরাও মনে করেন, দল ক্ষমতায় গেলে ভাগ্য ফিরিয়ে ফেলা যাবে। দেশের হতদরিদ্র মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে টাকা আয়ে এ দলগুলোর নেতা ও কর্মীদের কোন ক্লান্তি নেই।

যদিওবা কোন সরকার দুর্নীতির মামলা নিয়ে অগ্রসর হয়, তৎক্ষণাত জবাব তৈরী থাকে মামলাগ্রস্ত নেতা ও তার কর্মী নামের মুরীদদের, এ সমস্ত মামলা রাজনৈতিক উদ্যেশ্যে দেয়া হয়েছে। যেন তাদের নেতা - নেত্রী ও পাতি নেতারা দুধে ধোয়া তুলসীপাতা। ভাজা মাছটিও তারা উল্টাতে পারেন না।

বাপ দাদার ট্রেড লাইসেন্স নাই, নাই টিন নং। ক্ষমতা নামক আলাদীনের চেরাগে কয়েক বছরে কয়েকশ কোটি টাকার সম্পদ হাতিয়ে নেয়া নেতাদের কাছে দলের মুরীদানদের ভীড় দেখলেই বোঝা যায়, চেকনাই বিচ্ছুরিত আঙুল উঁচিয়ে তিনি সবক দিচ্ছেন দেশ ও জাতির উদ্যেশ্যে, মুরীদানরা তা গোগ্রাসে গিলছেন!

লেখক: সাবেক ছাত্রনেতা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত