স্যাটেলাইটে যেভাবে লাভবান বাংলাদেশ

প্রকাশ | ১২ মে ২০১৮, ১১:১২

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে বাংলাদেশ।  আজ থেকে আমরাও স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য হলাম।  প্রবেশ করলাম এক নতুন যুগে।'

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ শুক্রবার (১১ মে) দিনগত রাতে বাংলাদেশ সময় ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিটিভি এবং বেসরকারি টেলিভিশনগুলো অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করছে।

প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ও উৎক্ষেপিত এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টেলিভিশন ও বেতার সম্প্রচার খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জিত হবে বলে আশা করছে সরকার।

ডাক, টেলিযেগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি বলছে, স্যাটেলাইটের সক্ষমতা বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ এবং দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। জাতীয় নিরাপত্তায়ও কাজে লাগানো যাবে স্যাটেলাইট।

বর্তমানে দেশের প্রায় ৩০টি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে চ্যানেলগুলোর খরচ হয় ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হলে এ স্যাটেলাইট ভাড়া কমবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে রয়েছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। এর মধ্যে ২০টি ভাড়া দেওয়ার জন্য রাখা হবে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে এ স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার বিক্রির জন্য কাজ চলছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ বৃদ্ধি পাবে। ৪০টির প্রতিটি ট্রান্সপন্ডার থেকে ৪০ মেগাহার্টজ হারে তরঙ্গ বরাদ্দ পাওয়া যাবে। ইন্টারনেট বঞ্চিত এলাকায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ইন্টারনেট যোগাযোগ সহজতর হয়ে উঠবে।

দুর্যোগের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে এ স্যাটেলাইট। কোনো কারণে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়লেও প্রায় ৩৫ হাজার কিলোমিটার উপরে থাকা এ স্যাটেলাইট সিগন্যাল চালিয়ে যেতে সক্ষম হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন টেকসই করতে এ স্যাটেলাইট উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

সম মিলিয়ে বলা যায়, ই-সেবার পাশাপাশি বাণিজ্যকভাবে লাভবান হবে বাংলাদেশ। শক্তিশালী হবে অর্থনৈতিক ভিত।