নজরদারিতে আসছে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার
প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০১৮, ১২:১৬
জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ বিভিন্ন ধরনের ব্লগ ও ওয়েবসাইট মনিটরিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেজন্য কেনা হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি টুলস। ফেসবুকের কাছ থেকেও পাওয়া গেছে ইতিবাচক সাড়া।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা এবার অনেকেই নির্বাচনি প্রচার মাধ্যম হিসেবে সামাজিকে যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করবেন। অনলাইনে নিজের ও দলের ইতিবাচক প্রচারণা চালাবেন। এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে পারে অনিষ্টকারীরা।
তারা সরকার ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বাজে পোস্ট দিতে পারে, কুৎসা রটাতে পারে; যা ভোটারদের কাছে দলের ও প্রার্থীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে। সরকারের উন্নয়নের তথ্যর বদলে বিকৃত তথ্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তিও তৈরি করার চেষ্টা করা হতে পারে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। এখন চাইলেই ফেসবুক থেকে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাওয়া সম্ভব। ফেসবুক আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে দ্রুত সহযোগিতার হাত বাড়াতে প্রস্তুত।
জানা যায়, মন্ত্রী গত ফেব্রুয়ারি মাসে স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সম্প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে এসে মন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করে।
বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আগে ফেসবুকের কাছে তথ্য চাইলে অনেক সময় লাগতো সেই তথ্য দিতে। অনেক সময় দিতো না। এখন যেটা হয়েছে, আমরা তথ্য চাইলে সঙ্গে সঙ্গে সেই তথ্য ফেসবুক দেবে।