পাপনকে দ্রুত ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২১, ১৭:০০

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে যত দ্রুত সম্ভব ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে বলেছেন ডাক্তার। তারপরও সে যদি বোর্ডের সাথে থাকে তাহলে সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আজ শুক্রবার স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বোর্ডের এজিএম শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পাপন।

পাপন বলেন, আমাকে বারবার ডাক্তাররা বলেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে। ডাক্তাররা বলেছেন, যদি আপনি বোর্ডে থাকেনও অন্তত এই কাজগুলো করবেন না (ক্রিকেটারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা)।

ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়ে বিসিবি বস আরও বলেন, আমার একটি খারাপ দিক হল, বাংলাদেশ হারলে আমি তা নিতে পারি না। বাংলাদেশ যখন হারে তখন আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমার স্ত্রী এবং সন্তাদের কেউই আমার সামনে আসে না। আমার মতো আরো অনেকেই আছেন, যারা হার মেনে নিতে পারেন না। এই অনুভূতি খুব খারাপ।

আগামী অক্টোবরে শেষ হবে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান বিসিবি কমিটির মেয়াদ। এ বিষয়ে তিনি জানান, আগামী নির্বাচনের বিষয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা এজিএম-এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা পহেলা সেপ্টেম্বর বোর্ড সভায় নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো। আমরা খুব শীঘ্রই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবো।

বিসিবির প্রধান দাবি করেন, ক্রিকেট বোর্ডে অনেক সময় দিতে হবে তাকে। তিনি বলেন, আমাদের বোর্ড থেকে জালাল ইউনুস নিউজিল্যান্ড গিয়েছিলেন, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি জিম্বাবুয়ে গিয়েছিলেন। তারা জেনে অবাক হয়েছিলেন, আমি ভোর থেকে খেলা দেখছি, আমি তাদের সকাল ৭টায় কল করেছি এবং নাস্তার টেবিলে তাদের সাথে কথা বলেছি। এরপর আমরা দল নিয়ে কথা বলি। আসলে ক্রিকেটে খুব বেশি সময় দিতে হচ্ছে।

নির্বাচনের জন্য নিজস্ব ব্যক্তিগত পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে নাজমুল হাসান পাপন আরো বলেন, এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই, এবারের নির্বাচন ভিন্ন হবে। এটা অন্য সময়ের মত নাও হতে পারে। আমি আশা করি, এটি আমার প্রস্তাব অনুযায়ী হবে।

২০১২ সালের অক্টোবরে প্রথম দায়িত্ব নেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবির তৎকালীন প্রধান এএইচএম মোস্তফা কামালকে আইসিসির ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগের পর তাকে সরকার মনোনিত করে। এরপর ২০১৩ সালের অক্টোবরে বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন পাপন।

২০১৭ সালে কোনো বিরোধী না থাকার কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় নির্বাচিত হন পাপন। যদি এই পদে থাকতে চান পাপন, তবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে হ্যাট্রিক করার সুযোগ রয়েছে তার। আর এখন পর্যন্ত কেউ নির্বাচনে আগ্রহ দেখায়নি।

সাহস২৪.কম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত