লড়াই করেও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ

প্রকাশ : ১১ জুন ২০২২, ২০:২৫

সাহস ডেস্ক

তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে প্রায় সমান তালেই লড়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে পিছিয়ে পড়েও সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি জামাল ভূঁইয়ারা। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় হার এড়াতে পারেনি দলটি। শনিবার (১১ জুন) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ ২০২৩ কোয়ালিফায়ারের ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। দেশের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন মোহাম্মদ ইব্রাহীম এবং তুর্কমেনিস্তানের হয়ে গোল দুটি করেছেন আন্নাদুরদিয়েউ আলতিমিরাত ও আমানউ আরসলানমিরাত।

এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। এর আগে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ড্র। এরপর শক্তিশালী বাহরাইনের বিপক্ষে ২-০ গোলের হার। ফলাফল সন্তোষজনক হলেও লড়াইটা সে অর্থে করতে পারেনি বাংলাদেশ। কেবল রক্ষণ সামলানোর কাজেই ব্যস্ত ছিল তারা। তবে এদিন তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে সমান তালে লড়ে পাল্টা আক্রমণে নির্ভর করেই খেলছিল তারা। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় কাঙ্ক্ষিত গোল খুঁজে পেল না লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। উল্টো রক্ষণের দুর্বলতায় গোল হজম করে দলটি। এরপর ফাঁকা পোস্ট পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি টাইগাররা। তাই হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় হাভিয়ের কাবরেরার দলকে।

এদিন শুরুতেই জামাল ভূঁইয়াদের দারুণ চাপে ফেলে গোল আদায় করে নেয় তুর্কমেনিস্তান। ম্যাচের প্রথম সাত মিনিটের মধ্যে চারটি কর্নার পায় দলটি। তার শেষটি থেকে গোল পায় মধ্য এশিয়ার দলটি। কর্নার থেকে কোনাকুনি প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন আন্নাদুরদিয়েউ আলতিমিরাত। তবে খুব দ্রুতই সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। পাল্টা আক্রমণে নির্ভর করেই খেলছিল তারা। যার ফল পেয়ে যায় পাঁচ মিনিটের মধ্যে। ম্যাচের ১২তম মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো ইন থেকে রাকিব হাসানের হেড লাফিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। তবে পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বলে দারুণ এক হেডে সমতা ফেরান মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

এরপর বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। ২০তম মিনিটে সাজ্জাদ হোসেন ফাঁকায় ডি বক্সে ঢুকে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ভারসাম্য রাখতে পারেননি। ৩৬তম মিনিটে বিশ্বনাথের থ্রো ইন থেকে সাজ্জাদের হেডে গোলমুখে বল পেয়ে গিয়েছিলেন ইয়াসিন আরাফাত। কিন্তু মাথা ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। ৪১তম মিনিটে সাজ্জাদের উদ্দেশ্যে বাড়ানো রাকিবের ক্রস গুশমিরাত স্লাইড করে বিপদমুক্ত না করতে পারলে গোল পেতে পারতো বাংলাদেশ। তবে বিরতির আগে আর কোনো গোল না হলে এই ১-১ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় লাল-সবুজের দল।

বিরতি থেকে ফিরে এসেও তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে সমান তালে লড়ছিল জামালরা। ৪৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বিপদ সীমানায় ঢুকে পড়ে সাজ্জাদকে পাস দিয়েছিলেন রাকিব। ফাঁকায় থাকা সাজ্জাদ গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল নিয়ন্ত্রণে করতে দেড়ি ফেলেন। পাঁচ মিনিট পর ইব্রাহিমের ক্রসে সাজ্জাদ ঠিকমতো মাথা ছোঁয়াতে পারলে এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। ৭১তম মিনিটে বিপলু আহমেদ পাস থেকে ফাঁকায় পেয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। কিন্তু গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে নষ্ট করেন সে সুযোগ। উল্টো ৭৭তম মিনিটে রক্ষণের দুর্বলতায় গোল হজম করে বাংলাদেশ। বাঁ প্রান্ত থেকে আলতিমিরাতের ক্রস গোলমুখ থেকে আলতো টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন আরসলান। অথচ তাকে ঘিরে ছিল বাংলাদেশের চার খেলোয়াড়। কিন্তু কেউ আটকাতে পারেননি। এতে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় তুর্কমেনিস্তান। এরপর নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট আগে অবিশ্বাস্য এক সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। ফ্রি কিক থেকে নেওয়া জামাল ভুঁইয়ার শট থেকে এক খেলোয়াড় নিলে গোলমুখে ফাঁকায় পেয়ে যান বাংলাদেশের তিন খেলোয়াড়। সেখান থেকে শট নেন টুটুল হোসেন বাদশাহ। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মেরে সমতায় ফেরার সুবর্ণ এক সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত