বন্যার্তদের জন্য সাফের ট্রফিটা নিলামে তুলতে চান ফুটবলার শাহেদা

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২২, ১৯:৩৭

সাহস ডেস্ক

সিলেটে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে একটি উদ্যোগ নিয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আলো কাড়া স্ট্রাইকার শাহেদা আক্তার। বন্যার্তদের সাহায্যার্থে নিজের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান ওই টুর্নামেন্টের ট্রফিটি এবার নিলামে ওঠাতে চান শাহেদা। ট্রফি বিক্রির টাকা দিয়ে সাহায্য করতে চান বন্যার্তদের। নিজের ফেসবুকে শাহেদা এ-সংক্রান্ত একটা পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‌‌‘আসসালামু আলাইকুম। আমি শাহেদা আক্তার রিপা, সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা গোলদাতার ট্রফিটি নিলামে তুলতে চাই। আমি বাংলাদেশ মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলের একজন সদস্য। সিলেটে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে আমি ছোট্ট একটি উদ্যোগ নিয়েছি।’

নিজের মূল্যবান ট্রফিটি বিক্রির জন্য কোনো আফসোস নেই বলে জানিয়েছেন তিনি, ‌‘আমার ছোট্ট ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় পাওয়া, ২০২১ সালে শেষ হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ওই টুর্নামেন্টে আমি সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড় হয়েছি। সেরা গোলদাতার ট্রফিটি আমি নিলামে তুলতে চাই। যার সম্পূর্ণ অর্থ সিলেটের বন্যার্ত মানুষের দেওয়া হবে। কোনো দয়াবান ব্যক্তি যদি এই মহৎ কাজের অংশীদার হন, তাহলে আমি কিছুটা হলেও বন্যার্তদের পাশে থাকতে পারব।’ শাহেদা আরও লিখেছেন, ‌‘এই ট্রফিটা আমার বাড়ির শোকেসে রাখা আছে, হয়তো সারা জীবনই এভাবে থাকবে। কোনো মানুষের কাজে আসবে না। এ মুহূর্তে সিলেটের সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার, সেটা সবার সহযোগিতা। আমি যদি সিলেটের বন্যার্ত মানুষের পাশে একটু হলেও থাকতে পারি তাহলে ভালো লাগবে।’

শাহেদার বড় ভাই ফারুক হোসাইন বলেছেন, ‘আমি কাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় রিপার (শাহেদার) সঙ্গে কথা বলেছি। ও এখন বিকেএসপিতে পড়াশোনা করছে। ওর সঙ্গে সিলেটের বন্যা নিয়ে কথা বলেছি। ও নিজের সেরা অর্জনের ট্রফিটা নিলামে ওঠাতে চেয়েছে। আমিও তাকে উৎসাহিত করেছি। এরপর বাবার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আমরা সবাইকে জানিয়েছি। তবে এখনো সেভাবে সাড়া পাইনি।’ গত বছরের ডিসেম্বরে ঢাকায় হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ওই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের হয়ে আলো কাড়েন স্ট্রাইকার শাহেদা আক্তার। কক্সবাজারের উখিয়ার এই কিশোরী ৫ গোল করে জেতেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত