অবসর নিয়ে ধোঁয়াশায় সেরেনা

অবসর নেয়ার ভাবনাটা ভালো ভাবেই জেঁকে বসেছে সেরেনা উইলিয়ামসের মাথায়। কিন্তু অবসর নেয়াটা তার কাছে খুবই কঠিন ব্যপার। এখনো ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তিনি। তবে সময় থাকতে অন্য কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে চান সেরেনা। তিনি বলেছেন, ‘এটা খুবই কঠিন (অবসর নেয়া)। কারণ, আমি এখনো খেলতে ভালোবাসি। যত বেশি টুর্নামেন্ট খেলি, ততই এটা মনে হয়। কিন্তু এখনই সময়, অন্য কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার।’ অবসর নিয়ে নিজেই আছেন ধোঁয়াশার মধ্যে, রাখলেন সবাইকেও। সেরেনা আরও বলেন, ‘আমি এটা (অবসর) নিয়ে বেশ ধোঁয়াশার মধ্যে আছি। এভাবেই থাকতে চাই। কারণ সামনে কী ঘটবে, জানি না।’

সোমবার (২৯ আগস্ট) ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে দারুণ জয়ের পর ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অবসর নিয়ে এসব কথা জানান সেরেনা উইলিয়ামস। ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে মন্টেনিগ্রোর ডাঙ্কা কোভিনিচকে ৬-৩, ৬-৩ গেমে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠেন মার্কিন এ তারকা। তিনি যে প্রথম রাউন্ড জিতবেন এটা হয়তো সমর্থকদের জানাই ছিল। কারণ, পরিসংখ্যান বলছে ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে কখনোই হারেননি ৪০ বছর বয়সী সেরেনা।

ক্যারিয়ারে ‘শেষের শুরু’ হওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন সেরেনা। সবাই ধরেও নিয়েছিলেন, এবারের ইউএস ওপেন দিয়েই হয়তো অসাধারণ ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন তিনি। ওপেন যুগে সর্বোচ্চ ২৩টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী সেরেনার ‘শেষের শুরু’ যেহেতু শুরুই হয়েছে, অপরা ও বিলি জিন তাই সেরেনার খেলা দেখতে গ্যালারিতে চলে এসেছিলেন। ম্যাচ শেষে সেরেনার জয় উদ্‌যাপনের সময় অপরা উইনফ্রে বলেছেন, ‘কী আর বলব! চোখের পলকে বছরগুলো কেটে গেল। ’৯৮ মনে হচ্ছে গতকালের কথা। তুমি আমাদের অনেক দিয়েছ। আমরা শুধু ধন্যবাদই বলতে পারি।’

অপরার কথায় সেরেনার অবসর নেয়ার ইঙ্গিত থাকলেও মার্কিন এ কিংবদন্তি নিজেই জানিয়েছেন, অবসর নিয়ে তিনি নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলতে পারছেন না। আগস্টের শুরুতে ‘ভোগ’ সাময়িকীতে লেখা নিজের কলামে অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সেরেনা। কিন্তু কখনোই বলেননি, ইউএস ওপেনই হতে যাচ্ছে তার ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্ট। এ ব্যপারে সেরেনা বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে এখনো ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। এভাবেই থাকতে চাই। কারণ, সামনে কী হবে, জানি না।’ তবে সারা বছরের ট্যুরে সেরেনা ম্যাচ জিতেছেন মাত্র একটি, র‌্যাঙ্কিং নেমে গেছে ৬০৫ নম্বরে।

এদিকে, মেয়েদের এককে অন্য ম্যাচে দুবারের গ্র্যান্ড স্লামজয়ী সিমোনা হালেপকে প্রথম রাউন্ডে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন ইউক্রেনের দারিয়া সিনিগুর। সপ্তম বাছাই হালেপকে ৬-০, ০-৬ ও ৬-৪ গেমে হারান তিনি। সিনিগুরের ক্যারিয়ারে এটাই সবচেয়ে স্মরণীয় জয়। ইউক্রেনের যুদ্ধপীড়িত জনগণকে এই জয় উৎসর্গ করে সিনিগুর বলেছেন, ‘এই জয় ইউক্রেনের মানুষের জন্য, আমার পরিবার ও দলের জন্য।’