জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে হানিপ্রীত

প্রকাশ | ১০ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৩৮ | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৪২

অনলাইন ডেস্ক

ধর্ষণকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত গডম্যান গুরমিত রাম রহিম সিংহের তথাকথিত মানসকন্যা হানিপ্রীত ইনসান তথা হানিপ্রীত সিং হরিয়ানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পরে যে সব তথ্য উঠে আসছে, তাতে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমও চমকে উঠতে বাধ্য। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রাকশিত হয়েছে হানিপ্রীতের গোপন জীবেনের বিবিধ বিচিত্র তথ্য। 

গত সপ্তাহে চন্ডিগড়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তর করা হয় হানিপ্রীত ইনসানকে। এরই মধ্যে দু’দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাকে। 

রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পর পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে ৩৮ দিন লুকিয়ে ছিলেন হানিপ্রীত। পুলিশ বলছে, এই সময়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ও ১৬টি ভারতীয় সিমকার্ড ব্যবহার করেন হানি। পাঁচকুলায় গণহিংসা ছড়ানোর তদন্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির সাহায্য নেয় পুলিশ। হানিপ্রীতের অবস্থান ট্র্যাক করার চেষ্টাও হয়। এতেই বেরিয়ে আসে এসব তথ্য।

পুলিশ বলছে, হানিপ্রীত বেশ শক্ত নারী। ক্রমাগত মিথ্যা তথ্য দিয়ে একের পর এক পুলিশকে বিভ্রান্ত করছেন। অসুস্থতার ভান ধরে হাসপাতালেও গেছেন। কখনও আবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

তদন্ত কর্মকর্তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় হানির উপস্থিতির খোঁজখবর করতে গিয়ে দেখেছেন, হানিপ্রীত কৌর বা হানিপ্রীত ইনসান নয়, অন্য এক নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছিল তার। ‘গুরলীন ইনসাঁ’ নামের সেই ফেসবুক আইডির যাবতীয় তথ্য কয়েকদিন আগে মুছে ফেলা হয়। পুলিশ এখন ওই আইডি খতিয়ে দেখছে। 

প্রসঙ্গত, হানিপ্রীতের আসল নাম প্রিয়ঙ্কা তানেজা। ‘দত্তক’ নেওয়ার পর রাম রহিম তার নাম দেন হানিপ্রীত ইনসান।  

ইন্ডিয়া টুডে ও এবেলা জানায়, ৩০০ প্রশ্নের তালিকা থেকে আগামী কয়েকদিন হানিপ্রীতকে চলবে জিজ্ঞাসাবাদ। যতোদিন পর্যন্ত সদুত্তর না মেলে, ততোদিন অজ্ঞাত স্থানে রাখা হবে তাকে। এরপর কোনো জেলখানায় নিয়ে জেরা করা হতে পারে তাকে।

সূত্র: এবেলা.ইন