রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের দ্বিতীয় দিনেও বিক্ষোভ

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২২, ১৮:৩৬

সাহস ডেস্ক

অর্থ পাচার মামলায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ভারতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভারতের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দিল্লি কার্যালয়ে তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে জানিয়েছে এনডিটিভি। এর আগে সকালে রাহুলের বোন ও দলের সেক্রেটারি প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র এবং স্লোগান দেওয়া অসংখ্য নেতাকর্মীসহ দলীয় কার্যালয়ে যান। এসময় তার সঙ্গে সোমবার পুলিশের মারধরের শিকার কেসি বেনুগোপালসহ কংগ্রেসের একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতাকে দেখা যায়।

রাহুল পরে ‘জেড প্লাস’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা সহযোগে দিল্লির কেন্দ্রস্থলের এপিজে আবদুল কালাম সড়কে অবস্থিত ইডি কার্যালয়ে হাজির হন। সোমবারের মতো এদিনও ইডির দিল্লি কার্যালয়ের আশপাশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘিরে রেখেছে। গণজমায়েত নিরুৎসাহিত করতে দিল্লির কেন্দ্রস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কার্যালয়টিতে প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। কেবলমাত্র তদন্ত সংস্থার কর্মীদেরই ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

কংগ্রেসের দিল্লির মূল কার্যালয়ের আশেপাশেও ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলটির আকবর রোডের কার্যালয়ের দিকে চলাচল রোধে একাধিক ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। ইডি কার্যালয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় দলীয় কার্যালয়ের বাইরে থেকে হরিষ রাওয়াত ও রণদীপ সিং সূর্যওয়ালাকে আটক করা হয়েছে। অনেক কর্মীকেও আটক করা হয়েছে। কিছু কিছু ভিডিওতে পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীদের কংগ্রেস কর্মীদের টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এর আগে ন্যাশনাল হেরাল্ড নিউজপেপারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থপাচার মামলায় সোমবার রাহুল গান্ধীকে ১০ ঘণ্টার বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে মঙ্গলবারও ইডি কার্যালয়ে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে কংগ্রেস এ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার তদন্ত সংস্থা ইডিকে ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা। কংগ্রেসের দাবি, ইডি এরই মধ্যে বিজেপিবিরোধী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ৫ হাজারের বেশি মামলা দিয়েছে। কেউ বিজেপিতে যোগ দিলেই তার মামলাগুলো গায়েব হয়ে যায়। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল, চীনের জোরপূর্বক দখল, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, মহামারী মোকাবেলা, লকডাউনের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের কষ্ট, কৃষক বিক্ষোভ এবং বিজেপির উসকে দেওয়া সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগছিলেন। রণদীপ বলেন, “সরকার রাহুল গান্ধীকে ভয় পাচ্ছিল, সে কারণেই তাকে ‘টার্গেট’ করা হয়েছে।” রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছে বিজেপির ‘প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির’ অংশ। এর জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা স্মৃতি ইরানি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় নয়, রাহুল গান্ধীর দুই হাজার কোটি রুপিরও বেশি মূল্যের সম্পত্তি রক্ষায় কংগ্রেস বিক্ষোভ ও তদন্ত সংস্থার ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছে।

সাহস২৪.কম/টিএ/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত