বিজেপির হাত ধরে প্রথম আদিবাসী নারী প্রেসিডেন্ট পাচ্ছে ভারত?

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২২, ১৪:৫৩

সাহস ডেস্ক

সামনে ভারতের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে দেশটির ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাবেক গভর্নর দ্রৌপদী মুর্মুকে। মঙ্গলবার (২১ জুন) এই মনোনয়ন ঘোষণা করে দলটি। ৬৪ বছর বয়সী দ্রৌপদী মুর্মু একজন আদিবাসী নারী। ১৯৯৭ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দ্রৌপদী মুর্মু। দেশটির বিরোধী দলগুলো নিজেদের প্রার্থী হিসাবে যশবন্ত সিনহার নাম ঘোষণা করেছে। তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নির্বাচিত হলে দ্রৌপদী মুর্মুই হবেন ভারতের প্রথম আদিবাসী নারী প্রেসিডেন্ট।

ভারতের নির্বাচন কমিশন জানায়, ১৮ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২১ জুলাই ভোট গণনা হবে এবং ২৫ জুলাই শপথ নেবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তর থেকে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য এনডিএ পদপ্রার্থী হিসাবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এর আগে ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এই আদিবাসী নেত্রী। এর আগে ২০১৭ সালে দলিত মুখ হিসাবে রামনাথ কোবিন্দকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত করেছিল এনডিএ। এবার তারা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করল এক আদিবাসী নারীকে। সবকিছু ঠিক থাকলে তার জয় পেতেও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কারণ জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নাম্বার রয়েছে বিজেপির পক্ষেই। অবশ্য এদিনই বিরোধী দলগুলো সর্বসম্মত ভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে যশবন্ত সিনহার নামও ঘোষণা করে।

ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের ময়ুরভঞ্জ জেলার বাসিন্দা দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি পেশায় ছিলেন একজন শিক্ষিকা। ১৯৯৭ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন দ্রৌপদী। সেসময় বিজেপির এসটি সেলের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। এরপর ২০০০ এবং ২০০৫ সালে পরপর দু’বার উড়িষ্যার রায়রাংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। সেসময় রাজ্যটিতে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং বিজু জনতা দলের জোট সরকার ক্ষমতায় ছিল। সেই সরকারের বাণিজ্য ও পরিবহন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন দ্রৌপদী। পরে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হন। ২০০৭ সালে সেরা বিধায়ক হিসাবে ‘নীলকন্ঠ’ পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৫ সালে তাকে ঝাড়খণ্ড রজ্যের গভর্নর মনোনীত করা হয়। তিনিই ঝাড়খণ্ড রাজ্যের প্রথম নারী রাজ্যপাল ছিলেন। পাশাপাশি উড়িষ্যা রাজ্য থেকে নারী এবং আদিবাসী নেত্রী হিসেবে তিনি একটি রাজ্যের গভর্নরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এককভাবে অথবা জোট গড়ে ভারতের মোট ১৭টি রাজ্যে সরকার পরিচালনা করছে বিজেপি। কাজেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভোটের থেকে মাত্র হাজারখানেক ভোট কম রয়েছে এনডিএ’র হাতে।

সাহস২৪.কম/টিএ/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত