স্যামসাংয়ের প্রতারণা: জরিমানা ৯০ কোটি টাকা

স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাংকে প্রতারণার অভিযোগে বিপুল অংকের জরিমানা করেছে অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। মূলত নিজেদের স্মার্টফোন নিয়ে মিথ্যা ওয়াটার প্রুফের দাবির কারণে ৯৭ লাখ মার্কিন ডলারের এই জরিমানার মুখে পড়েছে সংস্থাটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৯০ কোটি টাকা। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) এই তথ্য জানা যায়।

রয়টার্স জানায়, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, স্যামসাং ইকেট্রনিক্সের স্থানীয় একটি ইউনিটকে (005930.KS) এক কোটি ৪০ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (৯৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার) জরিমানা করেছে অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। মূলত স্যামসাংয়ের কিছু স্মার্টফোনে পানি-প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে প্রতারণাপূর্ণ দাবির জন্য জরিমানার নির্দেশ দেয় ওই আদালত।

অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন (এসিসিসি) জানিয়েছে, কিছু ‘গ্যালাক্সি’ ফোনের ক্রেতাদের পানি-প্রতিরোধের (ওয়াটার রেসিস্ট্যান্স) মাত্রা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করার কথা স্বীকার করেছে স্যামসাং অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল অস্ট্রেলিয়ার এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে নিজেদের স্মার্টফোনের পানি প্রতিরোধক ক্ষমতা সম্পর্কে দোকানে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন চালায় স্যামসাং। প্রচারিত সেসব বিজ্ঞাপনে সেসময় স্যামসাং দাবি করেছিল, তাদের স্মার্টফোনগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে সুইমিং পুল অথবা সমুদ্রের পানিতেও। ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে এরপর থেকেই শত শত অভিযোগ পায় এসিসিসি। অভিযোগে জানানো হয়, স্মার্টফোনগুলো সঠিকভাবে কাজ করে না বা এমনকি পানির সংস্পর্শে আসার পরে এসব স্মার্টফোন ডেড হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশনের প্রধান জিনা ক্যাস-গটলিয়েব বলেছেন, সুইমিং পুল অথবা সমুদ্রের পানির মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারের এই দাবিগুলো মূলত গ্যালাক্সি ফোনগুলোর বিক্রির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছে। গ্যালাক্সি ফোন কেনা অনেক গ্রাহক নতুন একটি ফোন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মুখোমুখি হয়ে থাকতে পারেন। তবে স্যামসাং তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সাহস২৪.কম/এসটি/এসকে.