জ্বালানি সংকট সমাধানের দাবিতে চিকিৎসক-ব্যাংকারদের বিক্ষোভ

প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২২, ১৭:৩১

অনলাইন ডেস্ক

কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে দিন কাটাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। তীব্র জ্বালানিসংকটে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কার মানুষের জনজীবন। সংকটের জেরে পরিবহন ও চিকিৎসার মতো জরুরি খাতেও জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটি। আর মাত্র কয়েক দিনের জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে দেশটিতে। পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপের দিকেই যাচ্ছে। জ্বালানি সংকটের সমাধান দাবি করে চিকিৎসক, ব্যাংকারসহ শত শত মানুষ রাজপথে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

শ্রীলঙ্কা সরকার চলতি সপ্তাহে জানায়, তাদের এখন মাত্র এক সপ্তাহ চলার মতো জ্বালানি রয়েছে। এছাড়া জ্বালানির নতুন চালান আসতেও দুই সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। এর মধ্যেই সরকার গত মঙ্গলবার দুসপ্তাহের জন্য ট্রেন, বাস এবং স্বাস্থ্যখাতের মতো জরুরি পরিষেবায় জ্বালানির ব্যবহার সীমিত রাখার ঘোষণা দেয়।

কলম্বোর জাতীয় হাসপাতালের ১০০ জনেরও বেশি চিকিৎসা কর্মী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে মিছিল করে সরকারের কাছে জ্বালানি ও ওষুধের নতুন সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। জনস্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। চিকিত্সক, নার্স এবং চিকিৎসা কর্মীরা বলছেন, প্রয়োজনীয় কর্মী মনোনীত হওয়া সত্ত্বেও তারা কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি পাচ্ছেন না। শ্রীলঙ্কার অন্যতম বৃহত্তম নার্সিং ইউনিয়ন অল আইল্যান্ড নার্সেস ইউনিয়নের সেক্রেটারি এইচ.এম. মেডিওয়াত্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি। সরকারের উচিত দ্রুত এর সমাধান করা।’

এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী ২২ জুলাই আমদানিকৃত পেট্রলের একটি চালান দেশে আসবে। এছাড়া ভারতীয় তেল কর্পোরেশনের একটি ইউনিট লঙ্কা আইওসি আগামী ১৩ জুলাই পেট্রল ও ডিজেলের আরেকটি চালান পাওয়ার আশা করছে।

১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। এরই মধ্যে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ তলানিতে ঠেকেছে। দ্বীপ রাষ্ট্রটির বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ আমদানিতে ডলার সরবরাহ করতে পারছে না।