স্লোগানে উত্তাল কলকাতা, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৩৩

সাহস ডেস্ক

রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে কলকাতা শহর। নিয়োগ দুর্নীতিসহ একাধিক ইস্যুতে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার ( ১৩ সেপ্টেম্বর) প্রায় তিন ঘণ্টা একটানা শহরজুড়ে চলে তাণ্ডব। বিক্ষোভকারীরা এতে পুড়িয়েছেন পুলিশের গাড়ি, পুলিশও বেধড়ক লাঠিচার্জ করেছে।

দুর্নীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপির কর্মীরা এদিন রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। ‘চোর ধরো জেলে ভরো’ স্লোগানে দু’বছর পরে কলকাতায় বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছিল দলটি। নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি চলছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে। তবে ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রাত থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জমায়েত হন বিজেপি কর্মীরা। এদিন সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নবান্নের উদ্দেশ্যে বিজেপি কর্মীরা একাধিক মিছিল নিয়ে রওনা দেন। তাদের আটকাতে জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। প্রস্তুত ছিল জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসও।

নবান্নে পৌঁছার আগেই সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান চত্বরে মিছিল আটকে দেওয়া হয়। আশঙ্কা ছিল, ব্যারিকেডে বাধা পেয়ে গেরুয়া বাহিনী হয়তো ফিরে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। পুলিশের বাধা পেয়ে কার্যত মারমুখী হয়ে ওঠেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও কাচের বোতল ছোড়া হয়। এমনকি লাঠি-বাঁশও নিক্ষেপ করে। ভাঙচুর হয় পুলিশ কিয়স্কও। পাল্টা পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হন একাধিক বিজেপি কর্মী। মাথাও ফাটে তাদের।

একপর্যায়ে পুলিশের ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করেন বিজেপি কর্মীরা। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রণক্ষেত্রে হয়ে ওঠে কলকাতা এবং হাওড়ার বিভিন্ন চত্বর। বিজেপির নবান্ন অভিযান রুখতে এদিন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয় কলকাতা শহরকে। ২ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গোটা পরিস্থিতি নজরদারি চালানো হয় ড্রোনের মাধ্যমে।

মিছিলে শুরুতেই এদিন বিজেপি বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটক করে পুলিশ। হাওড়া স্টেশন থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে নবান্নমুখী মিছিল শুরু হয়। কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিজেপির সাবেক রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোড়ে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে বেপরোয়া লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলেন বিজেপি কর্মীরা।

সম্প্রতি রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন শাসক দলের সাবেক মন্ত্রী থেকে শুরু করে কয়েক নেতা। এতে বেকায়দায় পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত