বিশ্বের বড় বিড়াল হারকিউলিস

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০১৬, ১০:৩৮

সাহস ডেস্ক

হারকিউলিস আসলে একটি ‘লাইগার’, অর্থাৎ সিংহ আর বাঘের সংমিশ্রণ? গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তার নাম আছে বিশ্বের বৃহত্তম, জীবন্ত, অ-মেদবহুল মার্জার হিসেবে? সেই জীবটি যদি আবার যায় লন্ডন শহরে...!

হারকিউলিসের ওজন ৪১৮ কিলোগ্রাম; লম্বায় ৩ মিটার ৩৩ সেন্টিমিটার; দাঁড়ানো অবস্থায় তার কাঁধের উচ্চতা এক মিটার ২৫ সেন্টিমিটার? সে হলপভ লায়ন (বাবা) আর টাইগার (মা) মিলিয়ে লাইগার? লাইগারদের আজকাল মুক্ত প্রকৃতিতে পাওয়ার উপায় নেই? এককালে নাকি এশিয়ায় যেমন বাঘ, তেমন সিংহ ছিল; তখন নাকি বনে-জঙ্গলে লাইগারদেরও দেখা পাওয়া যেত।

হারকিউলিসের এই ভাইরাল ভিডিওটি প্রকাশিত হয় বছর তিনেক আগে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত কয়েক লাখ বার ক্লিক করা হয়েঝে। তার বাস আজ যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনা রাজ্যের মির্টল বিচ সাফারি ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভে। আগে থাকত মায়ামির জাঙ্গল আইল্যান্ড অ্যানিমাল থিম পার্কে? অনেকদিন ধরেই সে বিখ্যাত।

তিন বছর বয়সেই তার ওজন দাঁড়িয়ছিল ৪০৮ কিলো। ২০০৫ সালে তাকে টুডে শো, গুড মর্নিং অ্যামেরিকা, অ্যান্ডারসন কুপার ৩৬০ ইত্যাদি শোতে দেখা গেছে।

ভাইরাল ভিডিও-তে হারকিউলিসকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লন্ডনে। সেখানে প্রথমেই সে বিটলসদের অ্যাবি রোড অ্যালবামের সেই প্রখ্যাত জেব্রাটির ওপর ভুঁড়ি পেতে শুয়ে। তারপর তাকে দেখা যাচ্ছে একটি লন্ডন ট্যাক্সির পাশে। এইভাবেই এই ছোট্ট ভিডিওটিতে হারকিউলিসের সাইজের একটা আন্দাজ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে? একবার সে আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনের প্রবেশমুখে, একবার ব্রিটেনের নিজস্ব লালরঙা টেলিফোন কেবিনের পাশে। শেষমেশ ছাদখোলা একটি দোতলা টুর বাস থেকে তাকে মাংসের টুকরো খাওয়ানো হচ্ছে?

এই হুলোবেড়ালটিকে হিংস্র শ্বাপদ বলে ভাবতেই পারা যায় না। মনে হয় গলা জড়িয়ে ধরে আদর করি। হারকিউলিসেরও বোধহয় তাতে আপত্তি হবে না। সে তো আজও বুঝে উঠতে পারেনি, সে বাঘ না সিংহ...। খবর ডিডব্লিউর।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত