সিরাজগঞ্জে শহীদ শহীদ এম মনসুর আলীর শততম জন্মবার্ষিকী পালিত

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০১৭, ১৩:১৯

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সাবেক প্রধান মন্ত্রী ও অন্যতম জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলী ছিলেন একজন খাঁটি বাঙালি ও দেশ প্রেমিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ছিল। এই মহান নেতার শততম জন্ম বার্ষিকী পালন এক ঐতিাসিক ঘটনা। ১৯৭৫- এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বঙ্গবন্ধুর মতো আরও একজন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারিয়েছে। রাজনীতির এ শূন্যতা পূরণ হবার নয়।

শহীদ এম মনসুর আলীর শততম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসমাবেশে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেছেন।  

প্রধান বক্তা শহীদ এম মনসুর আলীর রাজনৈতিক উত্তরসুরী স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তাঁর পিতার প্রতি এ অঞ্চলের মানুষের ভালবাসায় আবেগ আপ্লুত হয়ে গর্ববোধ করে বলেছেন- আমার শহীদ পিতা বঙ্গবন্ধু এবং দেশের সঙ্গে বেঈমানী করেননি, তা তিনি জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন। শহীদ এম মনসুর আলীর কাজীপুর এখনও নৌকার ঘাটি।  

তার শহীদ পিতার জন্য তিনি গর্ববোধ করে বলেছেন, বাবার শেষ বারের মতো মুখটাও দেখতে পারিনি। তারপরও এই মহান ব্যক্তির সন্তান হিসেবে আমি গর্বিত।

এর আগে শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু কুড়িপাড়ায় শহীদ এম মনসুর আলীর ভিটে বাড়িতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন।

প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু শহীদ এম মনসুর আলীর স্মৃাতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১৯৭৫ সালে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে শহীদ এম মনসুর আলীসহ জাতীয় চার নেতা হত্যার বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।

তিনি আরও বলেছেন, বাংলার ইতিহাসে যে মহাপুরুষগণ তাদের অসামান্য কৃর্তিও জন্য অবিস্মরনীয় হয়ে রয়েছেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শহীদ এম মনসুর আলী। তাঁর সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সখ্যতা, অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস ছিল নজির বিহীন। এ জন্যই বঙ্গবন্ধু শহীদ এম মনসুর আলীকে দেশের প্রধান মন্ত্রীত্বসহ ১৬ টি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

শহীদ এম মনসুর আলীর শততম জন্ম বার্ষিকীতে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় শহীদ মনসুর আলী কল্যাণ ট্রাষ্ট, মনসুর আলী স্মৃতি সংসদ, মনসুর আলী পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ২দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত