পিতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির দাবিতে ছেলের সংবাদ সম্মেলন

“বাবা যাদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন, কিন্তু আমার বাবাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এই শোকে তিনি ২০১১ সালে মারা যান। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মূল সনদপত্র রয়েছে। তারপরও আবেদন দিলেই বাদ পড়ে যায়।”

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ একসরা গ্রামের মৃত. মকবুল হোসেনের ছেলে রোকনুজ্জামান বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বাবা মকবুল হোসেন ৮ নম্বর সেক্টরের আওতায় হাতিয়ায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরপর ৮ নম্বর ও ৯ নম্বর সেক্টরে বিভক্ত হয়ে তারা খুলনার ফুলতলায় অস্ত্রজমা দেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ বিষয়ে তৎকালিন বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানি, দেশ রক্ষা বিভাগের আঞ্চলিক অধিনায়ক মো. মঞ্জুর ও সেক্টর সাব কমান্ডার মো. শফিকউল্লাহ স্বাক্ষরিত মূল সনদপত্র রয়েছে।

বাবার সহযোদ্ধা আমিরুল সানা, মাহবুবুর রহমান, মো. কুদ্দুস ও ডা. আনিসুর রহমানসহ সকলেই মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন। কিন্তু আমার বাবাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হলো না।

তিনি পিতার মরণোত্তর মুক্তিযোদ্ধার স্বকৃতির জন্য আবেদন করে বলেন, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি যাচাই বাচাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। আমি বাবাকে মরণোত্তর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির দাবি জানান।

তবে এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান বলেন, যে কোন কারণবশত তার নাম কোন তালিকায় নেই। তাছাড়া বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।