ব্লগার অনন্ত হত্যা: অভিযোগ গঠনের আদেশ ২০ জুন

সিলেটে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ (৩২) হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ক আদেশের আগামী ২০ জুন।

আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এ তারিখ ধার্য করেন।

গত ৮ মে ছয়জনকে আসামি করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হয়।

ছয় আসামি হলেন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ফালজুর গ্রামের আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমেদ (২৭), সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিরেন্দ্রনগর (বাগলী) গ্রামের হারুন অর রশিদ (২৫), কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহি ওরফে মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে ইবনে মইন (২৪), ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশিদ আহম্মেদ (২৪) ও সিলেট নগরের রিকাবিবাজারের সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০)। তাদের মধ্যে আবুল, ফয়সাল ও হারুন পলাতক। বাকি তিনজন কারাবন্দী।

২০১৫ সালের ১২ মে সকালে বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সিলেট নগরের সুবিদবাজারের নূরানী আবাসিক এলাকার চৌরাস্তার মোড়ে অনন্ত বিজয় দাশকে (৩২) দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। 

অনন্ত পূবালী ব্যাংকের জাউয়াবাজার শাখায় ডেভেলপমেন্ট অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। ব্যাংকার পেশার পাশাপাশি তিনি বস্তুবাদ ও যুক্তিবাদ নিয়ে ব্লগে লিখতেন। তার লেখা ও সম্পাদিত বিজ্ঞানবিষয়ক বই রয়েছে। বিজ্ঞানবিষয়ক ছোটকাগজ যুক্তি নামে একটি পত্রিকা নিয়মিত সম্পাদনা করতেন। সিলেটে পরিচালিত বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অনন্ত।

ঘটনার একদিন পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট মহানগরের বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চার দুর্বৃত্তকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। মামলা তদন্তভার সিআইডিতে স্থানান্তর হয়।