রাজস্ব বোর্ডের সেবা প্রদানে যৌথভাবে কাজ করবে এটুআই-এনবিআর

প্রকাশ : ১১ জুন ২০১৭, ২০:২৪

সাহস ডেস্ক

একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ (এনবিআর)-এর পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত ডিজিটাল সেন্টার থেকে রাজস্ব বোর্ডের বিভিন্ন সেবাসমূহ জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

১১ জুন ২০১৭ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসএসএফ ব্রিফিং রুমে সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এর সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়-এর মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।

রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে জনগণের দোরগোড়ায় সহজে, দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে সেবা পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে এটুআই প্রকল্পের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারক সমূহের আওতায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরণের সরকারি-বেসরকারি সেবা ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে উদ্যোক্তাদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ডিজিটাল সেন্টার থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর বিভিন্নসেবা ই-টিন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশন, বিন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশন (e-TIN registration ও re-registration, BIN registration ও re-registration) এবং গ্রাহক সম্পর্কিত অনলাইন সেবা ইত্যাদি দেয়ার জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে এসকল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হবে ফলে দেশের তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ সহজে, দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে রাজস্ব বোর্ডের সেবাসমূহ গ্রহণ করতে পারবে। 

এছাড়াও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা সেবা প্রদানের বিপরীতে আকর্ষণীয় কমিশন লাভ করবে যা তাদের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ও ডিজিটাল সেন্টার টেকসই হবার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

ইতোমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েব সাইট থেকে অনলাইন ক্যালকুলেটর এর মাধ্যমে আয়করের হিসাব সংগ্রহ এবং আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় ২৯ লক্ষ নাগরিকের ই-টিন গ্রহণ ও লক্ষাধিক নাগরিককে অনলাইন ভ্যাট, ট্যাক্স এবং কাস্টমস প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেবাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে মূসক, আয়কর ও শুল্ক বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয়করণের উদ্যোগের ফলে কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, পাশাপাশি জাল-জালিয়াতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রায় ২৭ কোটি ৮০ লক্ষ সেবা প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে ৩০ হাজার ২০৭ টি ব্যাংক একাউন্ট খোলা,  ৭৮ কোটি  ৪৪ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন, ৬ কোটি ৪০ লক্ষ ১০ হাজার টাকা রেমিট্যান্স উত্তোলন সেবা প্রদান, ২ কোটি ৬৮ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা পাসপোর্ট ফি প্রদান, অনলাইনে ১২০০০টি পাসপোর্টের আবেদন সেবা প্রদান, বিদেশ গমনেচ্ছু ২০ লক্ষাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক ও পেশাজীবীদের অনলাইন নিবন্ধন এবং সেন্টার থেকে আবেদন করে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার জমির পরচা লাভ ডিজিটাল সেন্টার থেকে সেবা পাওয়ার অনন্য নজির।

এখন গ্রাম থেকে জনগণ সরকারি ফরম পূরণ, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, অনলাইন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ই-মেইল-ইন্টারনেট ব্যবহার, কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ ১১২ ধরনের সরকারি-বেসরকারি এবং বাণিজ্যিক সেবা পাচ্ছে এসকল ডিজিটাল সেন্টার থেকে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত