কেরানীগঞ্জের আমির 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত

প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০১৭, ১৪:৩৬

সাহস ডেস্ক

ঢাকার কেরানীগঞ্জে শিশু পরাগ মণ্ডল অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত পলাতক আসামি মোক্তার হোসেন আমির পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

৩১ জুলাই (সোমবার) রাত পৌনে ২টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ এলাকায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। 

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, মীরেরবাগ এলাকায় আমিরের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল রাতে সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওদিক থেকে গুলি করা হলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আমিরকে পাওয়া যায়। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক আমিরকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।

তিনি বলেন, হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আমির বা ল্যাংড়া আমিরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। আমরা তাকে অনেকদিন ধরে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে আসছিলাম।

ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, দুটি গুলি ও দুটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর সকালে কেরানীগঞ্জের সুভাঢ্যা পশ্চিমপাড়ার বাসার সামনে থেকে অপহৃত হয় সদরঘাটের হিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কেজি ওয়ানের ছাত্র পরাগ মণ্ডল (৬)। গাড়িতে ওঠার সময় মা লিপি মণ্ডল, বোন পিনাকী মণ্ডল ও গাড়িচালক নজরুলকে গুলি করে পরাগকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এর ৪৮ ঘণ্টা পর কেরানীগঞ্জের আঁটিবাজার এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পরাগকে। পরাগের বাবা বাদি হয়ে এ ঘটনায় একটি মামলা করেন। তদন্তের পর পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, মুক্তিপণে টাকা আদায়ের লক্ষ্যে আসামিরা পরাগকে মায়ের কোল থেকে অপহরণ  করে। এর মূল পরিকল্পনাকারী হলেন মোক্তার হোসেন আমির।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত