পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পাথর খনিতে নতুন করে উৎপাদন

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:২৩

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পাথর খনিতে দীর্ঘ ২ বছর উৎপাদন বন্ধ থাকার পরে ক্রাশার প্লান্ট চালু করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সাইজ ভিত্তিক পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে।  

জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে পাথর উত্তোলনের পাশাপাশি দু’টি নতুন স্টোপ উন্নয়নের কাজ চলতে ও দেখা গেছে। 

খনি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ৬,৭ ও ৮নং স্টোপ (পাথর উৎপাদন ইউনিট) উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে, খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট করপোরেশন (জিটিসি) ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে খনির জন্য ১৪৪ কোটি টাকার মাইনিং ইকুইপমেন্ট আমদানির চাহিদাপত্র দেয়। সময়মত প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট আমদানি না হওয়ায় স্টোপ উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়। তবে ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে জিটিসি পাথর উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে খনি কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের মাঝামাঝিতে ৯৫ কোটি টাকার শতাধিক আইটেম যন্ত্রপাতি আমদানি করে। এসব যন্ত্রপাতি খনি এলাকায় এসে পৌঁছনোর পর তিন শিফটে কাজ করে ৬,৭ ও ৮ নম্বর স্টোপ উন্নয়ন শেষ করে ৯ ও ১০ এ দু’টি স্টোপ উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে জিটিসি।

খনি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আগে খনিতে প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টন পাথর উত্তোলন করা হতো। জিটিসির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা দাবি করেন, আমদানিকৃত অত্যাধুনিক খনন যন্ত্রের মাধ্যমে খুব শিঘ্রই গড়ে প্রতিদিন ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টন পাথর উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

জার্মানিয়া ট্রেস্ট করপোরেশন (জিটিসি) ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেয় এ খনির। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। জিটিসি ৬ বছরের জন্য ১৭১ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তির শর্তানুযায়ী, এসময়ের মধ্যে তারা ৯২ লাখ মে. টন পাথর উত্তোলন করে দিবে।

সূত্র আরও জানায়, মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে ৭২ জন বিদেশী ও ৫ জন দেশী প্রকৌশলী, ১৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৫০০ খনি শ্রমিক কর্মরত আছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর  খনি ভূ-গর্ভে নতুন স্টোপ উন্নয়ন ও পাথর উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় মাইনিং ইকুইপমেন্ট (যন্ত্রপাতি) সময়মত আমদানি না হওয়ায় পাথর উৎপাদন বন্ধ হয় খনিতে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত