আত্মসমর্পণ করলেন জঙ্গি মারজানের বোন খাদিজা

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:৫১

সাহস ডেস্ক

যশোর ঘোপ নওয়াপাড়া রোডে জামে মসজিদের পেছনে যশোর জিলা স্কুলের শিক্ষক হায়দার আলীর চারতলা বাড়িতে থাকা জঙ্গি খাদিজা সোমবার ৩টা ৫ মিনিটে তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিল দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তবে তার স্বামী মশিয়ার রহমানকে পাওয়া যায়নি। 

খাদিজা গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার সঙ্গে জড়িত ও পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত জঙ্গি নুরুল ইসলাম মারজানের বোন।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাবনা থেকে খাদিজার বাবা-মা আসার পর সে আত্মসমর্পণ করে।  

বর্তমানে তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আর বাড়িটির যে ফ্ল্যাটে তার থাকত সেখানে বোমা নিষ্ক্রয়কারী দল তল্লাশি চালাচ্ছে। 

রবিবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত দুইটা থেকে যশোর ঘোপ নওয়াপাড়া রোডে জামে মসজিদের পেছনের একটি চারতলা বাড়ি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে সেখানে পৌঁছান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াটের সদস্যরা। বাড়িটি থেকে বের করে আনা হয় সাধারণ বাসিন্দাদের। সেখানে অবস্থান নেয় সোয়াটের একটি দল।

পুলিশের পক্ষ থেকে খাদিজাকে আত্মসমর্পণের জন্য মাইকিং করা হয়। পরে খাদিজা পুলিশকে জানায়, মা-বাবার সামনে আত্মসমর্পণ করবেন তিনি। শর্ত অনুযায়ী, পাবনা থেকে তার মা-বাবাকে যশোর নিয়ে যাওয়া হয়।

বাড়ির মালিক শিক্ষক হায়দার আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার স্ত্রী ইসমত আরা বাবলী। তারা তিন বোন। পৈত্রিক সূত্রে আমার স্ত্রী ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় দুটি ফ্লাট পেয়েছেন। সেখানে দুটি পরিবার ভাড়া থাকে। আমি পাশে আরেকটি বাড়িতে ভাড়া থাকি। আজ ভোর চারটার দিকে আমি এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পারি বাড়িটি ঘিরে রেছে পুলিশ। বাসার পশ্চিম পাশের ফ্লাটের ভাড়াটিয়া মশিয়ার রহমান ও তার পরিবারকে সন্দেহ করা হচ্ছে। মশিয়ার রহমানের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি একটি হারবাল কোম্পানিতে চাকরি করেন।

সাহস২৪.কম/মশিউর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত