আজ চাঁদপুর মুক্ত দিবস

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:০৭

সাহস ডেস্ক

আজ ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক-হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল চাঁদপুর জেলা। 

১৯৭১ সালের এই দিনে চাঁদপুর থানার সামনে বিএলএফ বাহিনীর প্রধান মরহুম রবিউল আউয়াল কিরণ প্রথম চাঁদপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। 

১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল চাঁদপুরে দখলদার বাহিনী দু’টি বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে প্রথম আক্রমণের সূচনা করে। এরপর থেকে হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের চলে দফায় দফায় গুলি বিনিময়। পরে গঠন করা হয় ‘শান্তিবাহিনী’। শান্তিবাহিনী ও পাক-হানাদার বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় চালাতে থাকে বর্বরোচিত অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞ। যৌথবাহিনী হাজীগঞ্জ দিয়ে ৬ ডিসেম্বর চাঁদপুর আসতে থাকলে মুক্তিসেনা কর্তৃক হানাদার বাহিনী প্রতিরোধের সম্মুখিন হয়। 

ভারতের মাউন্টেন ব্রিগেড ও ইস্টার্ন সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা যৌথ আক্রমণ চালায়। উপায়ন্তর না পেয়ে পাকিস্তানের ৩৯ অস্থায়ী ডিভিশনের কমান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল রহিম খান চাঁদপুর থেকে পালিয়ে যান। 

৩৬ ঘণ্টার তীব্র লড়াইয়ের পর ৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ শহর এবং বিনা প্রতিরোধেই চাঁদপুর শহর মুক্ত হয়। জেলার সব স্থান থেকে পাক-হানাদার বাহিনী পালিয়ে যায়। রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অনেকে পালিয়ে যায়, আবার কেউ-কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়।

মুক্তিযুদ্ধে অগণিত শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালে চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কস্থ লেকের পাড়ে নির্মিত হয় স্মৃতিস্তম্ভ ‘অঙ্গীকার’। দেশের প্রথিতযশা ভাস্কর্য শিল্পী আব্দুল্লাহ খালিদ এটি নির্মাণ করেছিলেন। 

পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকাসহ স্থাপন করা হয় আরেকটি স্মৃতিস্তম্ভ। এছাড়া হাজীগঞ্জের নাসিরকোর্টে নিহত ১১ জন শহীদের কবরসহ স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। 

২০১২ সালে বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় তৈরি হয় ‘রক্তধারা’। এছাড়া ২০০৬ সালে চাঁদপুরের প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কালাম, খালেক, সুশীল ও শংকরের জন্য শহরের ট্রাক রোডে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।

সাহস২৪.কম/মশিউর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত