‘রাজনৈতিক সঙ্কটের সুযোগ নিতে পারে জঙ্গিরা’

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:২৪

সাহস ডেস্ক

বাংলাদেশে নির্বাচনের বছরে রাজনৈতিক বৈরিতা আবারও সহিংস জঙ্গিবাদের উত্থানের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ-আইসিজি।

মাঠ পর্যায়ে গবেষণার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংঘাত ও তার নিরসনে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া এই আন্তর্জাতিক সংস্থার ২৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই সতর্ক বার্তা এসেছে।  

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক মেরুকরণে যে সংকট তৈরি হয়েছে, ইসলামপন্থি জঙ্গিদের তার সুযোগ নেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ‘কাউন্টারিং জিহাদিস্ট মিলিটান্সি ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই গবেষণায় বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সহিংসতার বিরতি সাময়িক হিসেবে প্রতীয়মাণ হতে পারে।

তাদের মতে, জামায়াতুল মজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি এবং আনসার আল ইসলামই এখন বাংলাদেশে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছে।

২০০৪ থেকে ২০০৮ সালে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, পরবর্তীতে, বিশেষত ২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের পর তীব্র রাজনৈতিক বিভেদ নতুনভাবে জিহাদি কার্যক্রমের পথ খুলে দেয়।

এছাড়া দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড আবার ২০১৪-২০১৫ সালের রাজনৈতিক সংঘাত ফিরিয়ে আনতে পারে বলে মনে করছে আইসিজি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গিবাদের ইতিহাস নব্বই দশকের শেষ দিকের, যা শুরু করে আফগান যুদ্ধ ফেরতরা।
জঙ্গিদের প্রথম দফা তৎপরতার সবচেয়ে বড় প্রকাশ ঘটে ২০০৫ সালে একযোগে ৬৩ জেলায় বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে। এরপরে সরকার জেএমবি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু তারপরেও জঙ্গি গোষ্ঠীটি আবারও নতুন রূপে সংগঠিত হয়। অপর গোষ্ঠী আনসার-আল ইসলামের উত্থান ঘটে, এদিকে জেএমবির আরেকটি শাখার আত্মপ্রকাশ ঘটে, যাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘নিও জামায়াতুল মুজাহিদ’ বলেছে, তারা নিজেদের ইসলামিক স্টেট-বাংলাদেশ বলে পরিচয় দিয়েছে এবং সিরিয়া ও ইরাকে যোদ্ধা পাঠিয়েছে।

দ্বিতীয় দফা জঙ্গিবাদের উত্থানের পেছনে রাজনৈতিক বিরোধ কাজ করেছে বলে মনে করে আইসিজি। তাদের মতে, জেএমবির কাছে শত্রুর তালিকা অনেক বড়। ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের বিরোধিতার পাশাপাশি তাদের মতো করে ইসলাম পালনে অনাগ্রহীদেরই তারা লক্ষ্যবস্তু করে।

সাহস২৪.কম/জুয়েনা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত