স্বাধীনতার মাসেই আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০১৮, ১৪:১৩

সাহস ডেস্ক

মহান স্বাধীনতার এ মাসেই আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছি।  বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমাদের এই অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেটি হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত আধুনিক, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির বাংলাদেশ। এ কাজে আপনারাই হচ্ছেন অগ্র সৈনিক।

আজ শনিবার (৩ মার্চ) সকালে খুলনায় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ৫৮তম কনভেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা এই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। এই স্বল্প সময়ে তিনি রাস্তাঘাট নির্মাণ থেকে রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছিলেন। পিছিয়ে থাকা একটি প্রদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রে উন্নত করেছিলেন জাতির জনক। তখন তাকে বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা করেছিলেন প্রকৌশলীরা।

বিভিন্ন খাতে তার সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। গত বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২৮ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের উপরে। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার। সকল ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মহান স্বাধীনতার মাসেই আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হচ্ছি।

বিদ্যুৎ সেক্টরের উন্নয়ন প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ভারতের সঙ্গে আন্তঃগ্রীড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। যার মাধ্যমে আঞ্চলিক জ্বালানি নিরাপত্তা বলয় গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, আমরা ভারত থেকে ৫০০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। পর্যায়ক্রমে এ আমদানির পরিমাণ একহাজার মেগাওয়াট হবে। নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিশ্ব একটি গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। এ বৈশ্বিক গ্রামে এককভাবে উন্নতি করা প্রায়ই দুঃসাধ্য। অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করতে হলে আন্তঃমহাদেশীয়, আন্তঃদেশীয় এবং আঞ্চলিক সংযোগ ও সহযোগীতা বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে সমগ্র খুলনা মহানগরীকে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য। ২০১৪ সালে সরকার গঠনের পর এটি খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সফর। এর আগে ২০১৫ সালে তিনি খুলনা শিপইয়ার্ডে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

সাহস২৪.কম/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত