বাসে ধর্ষণ: চালকসহ রিমান্ডে ৫

প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:৪৯

সাহস ডেস্ক

রাজধানীর অদূরে ধামরাইয়ে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাসটির চালকসহ পাঁচজনের তিন  দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) আসামিদের বিরুদ্ধে চাওয়া সাত দিনের হেফাজতের আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার জ্যেষ্ঠ  বিচারিক হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

আগের দিন ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের  হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার পরিদর্শক মো. জাকারিয়া।

সেই সঙ্গে ধর্ষিত পোশাক শ্রমিক জ্যেষ্ঠ বিচারকি হাকিম মনিকা খানের খাস কামরায় নারী ও শিশু নির্যাতন  দমন আইনের ২২ ধারায় ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে জবানবন্দি দেন।

গ্রেপ্তাকৃতরা হচ্ছেন- বাসচালক চুয়াডাঙ্গা সদরের বাবু মল্লিক (২৪), নীলফামারী জেলার ডিমলার বলরাম  (২০), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার আবদুল আজিজ (৩০), ধামরাইয়ের দক্ষিণ গাওয়াইল গ্রামের সোহেল রানা  (২০) ও একই উপজেলার দক্ষিণ কেলিয়া গ্রামের মকবুল হোসেন (৩৮)।

ধামরাই থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর গ্রাফিকস টেক্সটাইল কারখানার এক  পোশাক শ্রমিক ছুটি হওয়ার পর তার ভাড়া বাসা ইসলামপুরে ফেরার উদ্দেশে রাত ৯টার দিকে শ্রীরামপুর  বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রীসেবা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন।

বাসটি কালামপুরে আসার পর অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। পরে বাসটি ঢাকার দিকে না এসে এদিক-ওদিক  ঘুরাতে থাকে। পরে আবার ইসলামপুরের দিকে রওনা দিয়ে কেলিয়া এলাকা থেকে আরও তিনজনকে বাসে তোলে। যাত্রীবেশে ওঠা ওই তিনজনসহ বাসের হেলপার ও সুপারভাইজার হঠাৎ ওই পোশাককর্মীকে বাসের পিছন দিকে নিয়ে হাত, মুখ ও পা বেঁধে ফেলে।

এরপর তিনজন তাকে ধর্ষণ করে। পরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কেলিয়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে বাস  থামিয়ে চালকসহ অন্য দু'জন ধর্ষণ করতে গেলে মুখের বাঁধন খুলে চিৎকার দেয় ধর্ষিতা। এ সময় ঢাকা-আরিচা  মহাসড়কে টহলরত ধামরাই থানার এসআই ভজন রায় টের পেয়ে বাসটি ধাওয়া দিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের  কেলিয়া ব্রিজের পূর্বপাশ থেকে বাসসহ ধর্ষণকারীদের আটক করেন। 

সাহস২৪.কম/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত