যানজট নিরসনে সেতুমন্ত্রীর ১০ নির্দেশনা

প্রকাশ : ২৮ মে ২০১৮, ১২:৩৩

সাহস ডেস্ক

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট ও ভোগান্তি নিরসনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১০টি নির্দেশনা দিয়েছেন। যানজট ও ভোগান্তি রোধে পুলিশ, সড়ক ও জনপথ এবং স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।  

রবিবার (২৭ মে) ফেনী সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে ‘ঈদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট’ নিরসনে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক সভায় কিছু নির্দেশনা দেন।

এসময় সেতুমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে যানজট কমাতে সড়কের বিপরীত দিকে যেন কেউ কোনও গাড়ি চালাতে না পারে।  সে মন্ত্রী-এমপি-ভিআইপি যে-ই হোক। যদি আসে তাহলে তার মুখের দিকে না তাকিয়ে জরিমানা করবেন। সেটা আমার গাড়ি হলে আমারটাকেও করবেন।

নির্দেশনা গুলো হলো:-

১. যানজট নিরসনে ঈদের আগের ১০ ও পরের ৫ দিন সড়ক-মহাসড়কে খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করা।

২. ঈদের তিন দিন আগে ও পরে মহাসড়কে ভারী যানবহন চলাচল বন্ধ রাখা।

৩. লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা যানবাহন যেন রাস্তায় চলতে না পারে, সেজন্য পদক্ষেপ নেবে বিআরটিএ।

৪. ঈদের আগের সাত এবং পরের সাত দিন গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কে চলমান উন্নয়নকাজ বন্ধ রাখতে হবে।

৫. যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও যাত্রী ওঠানামা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পদক্ষেপ নেবে।

৬. পোশাক কারখানাগুলোয় আলাদা দুই দিনে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের পর্যাপ্ত উপস্থিতি থাকতে হবে।

৮. গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ইন্টারসেকশনগুলোয় শৃঙ্খলায় রাখতে হবে। চট্টগ্রামসহ ঢাকার প্রবেশ মুখগুলোতে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।

৯. ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে যানজট কমাতে সড়কের বিপরীত দিকে যেন কেউ কোনও গাড়ি চালাতে না পারে।

১০. টোল প্লাজায় যানবহনগুলোকে নির্ধারিত সমপরিমাণ অর্থ (নির্ধারিত টাকা ) সঙ্গে রাখতে হবে।

রাস্তার প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী  বলেন, যেখানে যেখানে রিপেয়ার দরকার, সেটা এর মধ্যে করতে হবে। রাস্তা সংস্কারে উদাসীনতা সহ্য করা হবে না।

সাহস২৪.কম/রনি/আল মনসুর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত