সাদুল্লাপুর-নলডাঙ্গা-বামনডাঙ্গা সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০১৮, ১২:১১

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর-নলডাঙ্গা-বামনডাঙ্গা সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। যাতায়াতে সময় ও ভাড়া দুটোই বেশি লাগছে। এ ছাড়া এই সড়কে চলাচলের কারণে প্রায়ই যানবাহন নষ্ট হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির বহু স্থানের কার্পেটিং (পিচ) উঠে গেছে দীর্ঘদিন আগেই। অনেক স্থানে ইটের খোয়া উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই সেসব গর্তে জমে থাকছে পানি। বিশেষ করে নলডাঙ্গায় খাদ্য গোডাউনের সামনের সড়কের অবস্থা একেবারেই বেহাল।

স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে পলাশবাড়ী হয়ে রংপুরে যেতে বেশি সময় লাগে। গাইবান্ধা-লক্ষ্মীপুর-সুন্দরগঞ্জ সড়কের ধোপাডাঙ্গা থেকে নলডাঙ্গা-বামনডাঙ্গা বাইপাস সড়ক এবং সাদুল্লাপুর-নলডাঙ্গা-বামনডাঙ্গা হয়ে রংপুরে যেতে যাতায়াতে সময় কম লাগে। এ ছাড়া এ পথে মহাসড়কের তুলনায় যানবাহন কম চলাচলের কারণে এই বাইপাস সড়কটি অত্যন্ত নিরাপদ অনেকের কাছে। আর তাই এই সড়কটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের কাছে। কিন্তু সড়কটির বেহাল দশার কারণে অনেকেই আর এই পথ দিয়ে চলাচল করেন না। আর তাই অন্য পথ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষরা।

অপরদিকে বামনডাঙ্গা-রংপুর ও বামনডাঙ্গা-সুন্দরগঞ্জ তিন সড়কের মোড়ে জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে সড়কটি নিচু থাকায় সেখানে পানি জমে থাকে। ফলে যাতায়াতকারী মানুষরা পড়েন বিপাকে। এর আগে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় সেখানে সড়কটি নষ্ট হয়ে গেলে আবার সেটি মেরামত করা হয়। আবারও পানি জমে থাকায় সেটি নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই সড়কটি নষ্ট হওয়ার আগেই সেটির স্থায়ী সমাধান জরুরী বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি বর্তমানে ১২ ফুট প্রশস্ত আছে। সড়কটি ২০১৭ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, অবকাঠামো মেরামত/সংস্কার প্রকল্পের আওতায় দুইপাশে আরও ৩ ফুট করে মোট ৬ ফুট প্রশস্তকরণের প্রস্তাবনা অনুমোদন হয়েছে। দরপত্র আহবানের প্রক্রিয়া চলছে। প্রক্রিয়া শেষে কাজ শুরু করা হবে।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত