লতিফ সিদ্দিকীর সেই বাড়িতে এখন নূর থাকবেন

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০১৬, ১৬:০২

সাহস ডেস্ক

রাজধানীর হেয়ার রোডের ২০ নম্বরে অবস্থিত  ‘ধলেশ্বরী’ বাড়িটির অবশেষে গতি হচ্ছে। যেখানে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী থাকতেন। প্রায় দুই বছর আগে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে তিনি বাড়িটি ছাড়েন। তারপর দু-একজন মন্ত্রী বাড়িটি দেখে গেছেন। কিন্তু কেউ ওঠেননি। সেই থেকে শূন্যতা ধলেশ্বরীতে।

তবে এবার শূন্যতা কাটছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বাড়িটিতে উঠছেন বলে জানা যায়। 

বাড়িটি দেখভালের দায়িত্বে আছেন জামাল জানান,  কদিন আগে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর পরিবার নিয়ে বাড়িটি দেখে গেছেন পছন্দও হয়েছে। এখন চলছে ঝাড়পোছ। চটে যাওয়া দেয়ালে পড়ছে রঙের ছোঁয়া। পুরোদস্তুর তৈরি হলে মন্ত্রী উঠবেন, এখন পর্যন্ত এমনটাই ঠিক হয়ে আছে।

জামাল আরও জানান, গেল বছর বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক বাড়িটি ঘুরে গিয়েছিলেন। কিন্তু উঠবেন বলেও শেষে আর ওঠেননি। এসেছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের স্ত্রীও। তিনি দেখে প্রথমে পছন্দ করলেও পরে  না করে দেন। এরপর দীর্ঘদিন পর এ বছরের মার্চে কামরুল ইসলাম মেয়েকে নিয়ে আবার বাড়িটি দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু মেয়ের আপত্তি করে বললেন, ‘বাবা, বাড়িটি অনেক দিন খালি। এখানে আসব না।’

হেয়ার রোডের শেষ দিকটায় বাড়িটির নিরিবিলি পরিবেশ ভেদ করে মাঝেমধ্যে ডেকে উঠছে ইষ্টিকুটুম, দোয়েল। বাড়ির ভেতরে দুপাশে বাগান। নানা রঙের ফুল। আছে রসালো ফলের গাছও।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী থাকাকালে বাড়িটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। দশম সংসদ নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠনের পর মন্ত্রণালয় বদল হয়।এবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু বাসা বদল করেননি তিনি। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে এক সভায় পবিত্র হজ ও তাবলীগ জামায়াত নিয়ে কটূক্তিসহ প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও আপত্তিকর কথা বলেন তিনি। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় লতিফ সিদ্দিকীর শাস্তির দাবি উঠলো। তার এই কাণ্ডে বিব্রত সরকার ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর তাকে সরিয়ে দিল মন্ত্রিসভা থেকে। পরে তিনি ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর সংসদ সদস্য পদও ছেড়ে দেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত