অসাধু চক্র ও দেশি-বিদেশি চক্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলে

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:৪৪

সাহস ডেস্ক

অসাধু চক্রের সহায়তায় রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে। ওই অসাধু চক্রের সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্র মিলে ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা হয় বলে সিআইডির তদন্ত দলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলম জানিয়েছেন।

শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) তিনি জানান, প্রথম থেকেই আমাদের সন্দেহ ছিল এদেশের ব্যাংক থেকেও হ্যাকারদের সহায়তা করা হয়েছে। এই অসাধু চক্রটি প্রথমে গোপন তথ্য দিয়ে হ্যাকারদের সহায়তা করে।  হ্যাকাররা ব্যাংকের নিরাপত্তার তথ্য জেনে যায়। পরে তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলে। এরপরই হ্যাক করে। ব্যাংকের লোকজনের সঙ্গে বিদেশি চক্রও এতে জড়িত। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলেই বিস্তারিত জানানো হবে।
 
ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর থেকেই সিআইডির একটি বিশেষজ্ঞ দল তদন্তে নামে। ব্যাংকের ভেতর অনেক ইলেকট্রনিক প্রমাণ খতিয়ে দেখে।

সিআইডির একটি সূত্র বলছে, এর সঙ্গে অনেকেই জড়িত। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিলিং রুমের সার্ভার ও কম্পিউটার থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল সব তথ্য। দুটি বিভাগের প্রধানসহ আরো কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব কাজ করে। এদের মধ্যে আইটি বিভাগের লোকজনের সংখ্যাই বেশি। হ্যাকাররা সরাসরি তাদের সহযোগিতা নিয়ে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে। সুবিধাজনক সময় টাকাগুলো তুলে নেয়। সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে জালিয়াতির আশ্রয় নেয় হ্যাকাররা।

২৯ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনের পত্রিকা ইনকোয়েরারের প্রতিবেদনে রির্জাভ চুরির ঘটনার প্রথম তথ্য প্রকাশ পায়। ওই সময় বলা হয়, ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল হ্যাকাররা। এ প্রচেষ্টায় দুই ধাপে প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার লোপাট করলেও ৮৭০ মিলিয়ন ডলার পাচারে ব্যর্থ হয় তারা। বাকি টাকা উদ্ধারে ফিলিপাইন সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক অব্যাহত রেখেছেন ব্যাংকের কর্মকর্তা থেকে সিআইডির তদন্ত দল।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত