১০ জঙ্গিকে আসামি করে হোসাইনী দালানে হামলার অভিযোগপত্র

ফাইল ছবি

এক বছর পর পুরান ঢাকার হোসাইনী দালানে আশুরার সমাবেশে বোমা হামলার মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দেওয়া এই অভিযোগপত্রে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) জেএমবির ১০ সদস্যকে আসামি করা হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় এ অভিযোগপত্রটি আড়াই মাস পড়ে ছিল।

মঙ্গলবার গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মোঃ শফিউদ্দিন  অভিযোগপত্রটি জমা দেন বলে জানান ওই আদালত সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম।
আসামিরা হলেন- ওমর ফারুক মানিক (২৮), হাফেজ আহসান উল্লাহ মাসুদ (২৯), শাহজালাল মিয়া (৩৮), চান মিয়া (৩২), কবির হোসেন বা রাশেদ বা আশিক (২৮), মাসুদ রানা মাসুদ সুমন (২৪), আবু সাঈদ রাসেল সোলায়মান বা সালমান বা সায়মন (২২), মোঃ আরমান মনির (২৭), জাহিদ হাসান রানা বা মুসায়াব (২২), রুবেল ইসলাম বা সজীব বা সুমন (২২)। 

এদের মধ্যে থেকে নেত্রকোনার মানিক, মাসুদ, গাজীপুরের শাহজালাল, গাইবান্ধার চান মিয়া গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্ত রয়েছেন। আরমান, জাহিদ ও কবির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত আলবানি  শাহাদত বা মাহফুজ বা হোজ্জা, আবদুল্লাহ বাকি আলাউদ্দিন নোমান, সাঈদ হিরণ বা কামাল ছিলেন এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী।

হামলার আগে ১০ অক্টোবর (সোমবার) তারা বৈঠক করে শিয়া মুসলিমদের ওই সমাবেশে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিলেন বলে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত বছর ২৩ অক্টোবর রাতে  জঙ্গি হামলার আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় হোসাইনী দালানের ইমামবাড়ায় বোমা হামলা হয়। এতে দুজন নিহত হন।ওই ঘটনায় চকবাজার থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানা তদন্ত করলেও পরে তদন্তের দায়িত্ব নেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় অভিযোগপত্র দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হওয়ায় তা পেতে দেরি হওয়ায় বিচার শুরু হয়নি এক বছরেও।

তিন মাস আগে গত ২১ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি আবেদনপত্রে লিখেছিলেন, অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।তার আড়াই মাস পর তদন্ত কর্মকর্তা শফিউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলেন।