২০১৬-১৭ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:০৯

সাহস ডেস্ক

২০১৬-১৭ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর ফজলে কবির।

এ ছাড়া দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে জুন, ২০১৭ পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত রেখে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

এদিকে সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থবছর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

নতুন মুদ্রানীতি প্রসঙ্গে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ব্যক্তিখাতের ঋণের প্রবৃদ্ধিসহ অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বসীমা জুন পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত ১৬ দশমিক ৫ ও ১৬ দশমিক ৪ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পুঁজিবাজারের আকার বাড়ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রধান সূচক বেড়েছে ২৩ শতাংশ। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। বর্তমানে দেশের জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান ১৫ শতাংশ। এটা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এর আগের মুদ্রানীতিতেও ঋণপ্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা একই ছিল। এবার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি ও ব্যক্তিখাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ অর্জিত হয়েছিল।

দেশের পুঁজিবাজারে ২০১০ সাল থেকে বিরাজমান মন্দা প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াটি যেন সুস্থ ধারায় থাকে সে বিষয়ে কার্যকর নজরদারি করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দিক থেকেও তাদের গ্রাহকদের নেওয়া বিভিন্ন ঋণ সঠিক খাতে যথাযথ ব্যবহার হয় কি না সে বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হবে।

এ ছাড়া নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সুদৃঢ় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে অতীতের মতো এবারও ‘প্রলুব্ধ ক্ষুদ্র’ বিনিয়োগকারীদের গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাবে বলেও জানান গভর্নর।

এ সময় ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, এস এম মনিরুজ্জামান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মো.আখতারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত