কক্সবাজারে ৪৬ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ৩৪ হাজার ২০ জন

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) শুরু হচ্ছে ১ নভেম্বর। কক্সবাজার জেলায় এ দুটি পরীক্ষায় অংশ নিবে ৩৪ হাজার ২০ জন শিক্ষার্থী। প্রথম দিন জেএসসিতে বাংলা প্রথম পত্র এবং জেডিসিতে কোরআন মাজিদ ও তাজবীদ বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৭ নভেম্বর শেষ হবে এই পরীক্ষা। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখা সূত্র মতে, জেলায় এবারে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষা কেন্দ্রে সংখ্যা ৪৬ টি। এইসব কেন্দ্রে মোট ৩৪ হাজার ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। জেএসসি’র ৩১ টি কেন্দ্রে বসবে ২৪ হাজার ৭০৯ জন শিক্ষার্থী। আর জেডিসি’র ১৫ কেন্দ্রে মোট ৯ হাজার ৩১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে।

সূত্র আরো জানায়, জেএসজি পরীক্ষায় কক্সবাজার সদর উপজেলার কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী রয়েছে ১ হাজার ২৩০ জন, ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৪৫ জন, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৬৩৭ জন, ইদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে ৩৬৭ জন, ঈদগাহ জাহানারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬০০ জন এবং কক্সবাজার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭১১ জন। 

রামু উপজেলার রামু খিজারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৫০ জন, জোয়ারিয়ানালা এইচ.এম.সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৫৮ জন, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭০০ জন এবং গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৩৮ জন। 

চকরিয়া উপজেলার চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৪২৮ জন, চকরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৩৫০ জন, ডুলাহাজারা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৬৮ জন, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠে ১ হাজার ৪৭১ জন, ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫০ জন, চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮১৪ জন এবং হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৫৩। 

কুতুবদিয়া উপজেলার কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার জন এবং ধুরং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৮৫ জন।
 
মহেশখালী উপজেলার মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৬৩ জন, কালামারছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৫০ জন এবং মাতারবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৮৭ জন। 

উখিয়া উপজেলার উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২০ জন, উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯০০ জন, কুতুপালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৩০ জন এবং পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৬২ জন।
 
টেকনাফ উপজেলার টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৮৭ জন এবং আলহাজ্ব আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৪৪ জন, এজাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৪৫ জন। 

পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া জি,এম, সি ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে ১ হাজার ৪০ জন এবং পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ২৬ জন।

জেডিসি পরীক্ষায় কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৫৯২ জন, কক্সবাজার মহিলা আদর্শ মহিলা কামিল মাদরাসায় ৮৩১ জন, ইদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল মাদরাসায় ৮৫৭ জন। 

চকরিয়া উপজেলার চকরিয়া আনওয়ারুল উলুম ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ১ হাজার ৬০০ জন, পহরচাঁদা ফাজিল মাদরাসায় ২০৯ জন, আমজাদিয়া রফিকুল উলুম মাদ্রাসায় ৩০০ জন। 

কুতুবদিয়া উপজেলার কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৫৯৮ জন। মহেশখালী উপজেলার মহেশখালী পুটিবিলা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৭৫০ জন এবং কালামারছড়া দাখিল মাদ্রাসায় ৫৯৭ জন। 

টেকনাফ উপজেলার টেকনাফ রঙ্গিখালী দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে ৬২৯ জন। পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ৬২৬ জন এবং রাজাখালী বি, ইউ, আই ফাজিল মাদরাসায় ২৩৯ জন। 

রামু উপজেলার রামু মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৬৭০ জন এবং গর্জনিয়া ফয়জুল উলুম আলিম মাদরাসায় ২০০ জন এবং উখিয়া উপজেলার রাজাপালং এমইউ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৬১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। 

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) কাজি আবদুর রহমান বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষে সব ধরনে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।