রাবির উপ-উপাচার্য ও আইসিটি সেন্টারের পরিচালককে প্রাণনাশের হুমকি

প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১২:২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং আইসিটি সেন্টারের প্রশাসককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় নগরীর টিকাপাড়ায় অবস্থিত উপ-উপাচার্যের বাসায় গিয়ে ৫০ থেকে ৬০ জন ব্যক্তি তাকে হুমকি দিয়ে আসে।

একই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় শিক্ষকদের কোয়ার্টারে অবস্থিত আইসিটি সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যার বাসায় ১০ থেকে ১২ জনের একটি সস্বস্ত্র দল তাকে হুমকি দিয়ে আসে।

উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে  আমার বাড়ির আশেপাশে ৫০ থেকে ৬০ জন লোক এসে মহড়া দেয়া শুরু করে। তারা আমার বাড়ির লোককে ডাকাডাকি করে। এ সময় আমি বাসায় না থাকায় বাসার কেউ বাইরে বের হয়নি। ওই লোকগুলো জোরে জোরে চিৎকার করে বলে, আগামীকালের (শুক্রবার) নিয়োগ পরীক্ষা যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে আমাকে তারা দেখে নেবে। আমার বাসার কেউ তাদেরকে চিনতে পারেনি। তবে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, তারা রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী।’

আইসিটি সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে আমার বাসায় অস্ত্রসহ ১০ থেকে ১২ জন লোক ৪টি মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। তারা আমাকে বাইরে যেতে বললে আমি যেতে রাজি হইনি। এ সময় তারা আমাকে বলে, আগামীকালের (শুক্রবার) নিয়োগ পরীক্ষা যদি বন্ধ না করা হয় তবে আমাকে তারা দেখে নিবে। আমি তাদেরকে বলেছি, আমি পরীক্ষার পরিদর্শক মাত্র। আমি তো পরীক্ষা বন্ধ করতে পারি না। তখন তারা আমাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করে। তা না হলে পরীক্ষার পরিদর্শক হওয়ার ‘শখ’ মিটিয়ে দেওয়া হবে বলেও তারা হুমকি দিয়ে যায়।’

আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ক্যাটালগার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও গ্রন্থাগার সহকারী পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কম্পিউটার ক্যাটাগার পরীক্ষা সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ও গ্রন্থাগার সহকারী পরীক্ষা বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে।

এর আগে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিডিউটের আয়া ও মালি নিয়োগের ভাইভা পরীক্ষা চলাকালীন নগরীর মতিহার থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন পরীক্ষা কক্ষে জোরপূর্বক প্রবেশ করে পরীক্ষা বন্ধ করে দেন।

আজ কম্পিউটার ক্যাটালগারে ৩টি, ডাটা এন্ট্রি অপারেটরে ২০টি ও গ্রন্থাগার সহকারীতে ৪টিসহ মোট ২৭টি পদের জন্য মোট তিন হাজার ২০ জন পরীক্ষার্থীর এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত