পাবনায় ২২ বছর আগেই স্কুলভবন নির্মাণে বাঁশ

প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:৩১

সাহস ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন স্থানে ভবন ও রেললাইনে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের খবর গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যও সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু পাবনা জেলার একটি স্কুলভবনে ২২ বছর আগেই এই বাঁশ ব্যবহার হয়েছে। 

পাবনার সুজানগর উপজেলার একটি স্কুলের ভবনে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের সন্ধান মিলেছে।

সম্প্রতি ভূমিকম্পে ২২ বছর আগে নির্মিত ওই স্কুলের প্লাস্টার খসে বাঁশের অংশবিশেষ বের হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। দীর্ঘদিন পর ভবনের ফাটলে ‘বাঁশ’ ভাবিয়ে তুলেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। সবমিলিয়ে আতঙ্ক নিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। শিক্ষকরা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এলাকাবাসীসহ অভিভাবকরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছেন। 

পাবনা জেলা শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে সুজানগর উপজেলার প্রত্যন্ত বিন্যাডাঙ্গি গ্রামে ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিন্যাডাঙ্গী রেজি. বেসরকারি বিদ্যালয়। এটি ২০১৩ সালে সরকারীকরণ হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫০ জন। প্রথমে টিনের ঘরে পাঠদান হলেও ১৯৯৪ সালে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে দুই দফায় স্কুলের একটি ভবন নির্মিত হয়।

ভবনটি নির্মাণে ঠিকাদার ছিলেন সুজানগরের সুলতান মাহমুদ ও আব্দুর রউফ নামে দুই ব্যক্তি। ভবন নির্মাণের সময় রডের পরিবর্তে বাঁশ ও কাঠ ব্যবহার করেন তারা। 

সম্প্রতি ভূমিকম্পে স্কুলভবনে বিভিন্ন স্থানে দেখা দেয় ফাটল, প্লাস্টার খসে যাওয়ায় বেরিয়ে আসে বাঁশ ও কাঠের অংশবিশেষ। এরপর বিষয়টি নজরে আসলে ক্ষুব্ধ হন শিক্ষক অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত