শামুক কমে গেলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়: গবেষণা

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০১৬, ১৮:০৬

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকৃতির ফিল্টার শামুক কমে গেলে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হয় বলে মনে করেন সাতক্ষীরার ৮৯ ভাগ মানুষ। আর শামুক কমে যাওয়ার পিছনে প্রজনন মৌসুমে শামুক ধরা ও বিক্রি, মাছের খাদ্য হিসেবে ও চুন তৈরিতে ব্যবহার, ডিমওয়ালা শামুক নিধন, শামুকের আশ্রয়স্থল তথা জলাশয় কমে যাওয়া, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধিসহ নানা কারণকে দায়ী করে শামুক রক্ষায় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী বলে মনে করেন তারা।

সম্প্রতি সাতক্ষীরায় বারসিক ইনস্টিটিউট অব এ্যাপ্লাইড স্টাডিজ পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। 

মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘মানুষ শামুককে প্রকৃতির বন্ধু হিসেবে কতটা চেনে এবং শামুক কমে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান, প্রেক্ষাপট সাতক্ষীরা’ শীর্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস এ্যান্ড ডালায়গে এই তথ্য জানানো হয়।

এ সময় মাল্টিমিডিয়ায় গবেষণাপত্রের সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করেন গবেষক শেখ তানজির আহমেদ এবং গবেষক আসাদুল ইসলাম। 

এতে বলা হয়, প্রকৃতির অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বন্ধু হলেও শামুকের উপকারিতা সম্পর্কে জেলার ১৮ ভাগ মানুষের কোন ধারণা নেই। বাকী ৮২ ভাগ মানুষের ধারণা থাকলেও এই ৮২ ভাগের মধ্যে ৮২ দশমিক ৯৩ ভাগের ধারণা প্রত্যক্ষ ধরনের। 

গবেষণাপত্রে বলা হয়, জেলার ৮ ভাগ মানুষ মনে করেন শামুক কমে গেলে কোন ক্ষতি হয় না। আর ৩ ভাগ মানুষ ক্ষতি সম্পর্কে জানেন না। বাকী ৮৯ ভাগ মানুষের মতে, শামুক কমে যাওয়ার কারণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এক্ষেত্রে তারা মাছ ও হাঁসের খাদ্য কমে যাওয়া, পানি নষ্ট হয়ে যাওয়া, মাটির স্বাস্থ্য নষ্ট হওয়া, পানিতে রোগ জীবাণু বৃদ্ধি, ইদুরের উৎপাত বেড়ে যাওয়া, দেশীয় মাছ কমে যাওয়াসহ সর্বোপরি পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ার কথা উল্লেখ করে জনসচেতনতা সৃষ্টির সুপারিশ করেন। 

সংলাপে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, অসীম বরণ চক্রবর্তী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহীন ইসলাম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত