হার্ট অ্যাটাকে একা থাকলে করণীয়

প্রকাশ : ০৯ জুন ২০১৭, ১০:৩৪

সাহস ডেস্ক

বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির এই যুগেও আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। এদের বেশিরভাগই আবার একা থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। অনেকেই আবার সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবেও মারা যান। তবে এদের মধ্যে একা থাকা অবস্থায় মারা যাওয়ার হারটা একটু বেশি। এর অন্যতম কারণই হলো হার্ট অ্যাটাকের সময় করণীয় সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞানের অভাব। এ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞানই পারে কেবল আমাদের বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে।

জীবনের প্রয়োজনে আজকাল অনেককেই একা থাকতে হয়। কাজেই একা থাকার সময় হার্ট অ্যাটাকে যা করবেন-

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ-

১. বুকে অস্বস্তি কিংবা ব্যথা

২. শরীরের ওপরের দিকে অস্বস্তি বা ব্যথা, বিশেষ করে হাতে, পিঠে ও চোয়ালে বা পেটে ব্যথা

৩. একটুতেই হাঁফিয়ে ওঠা, হঠাৎ ঘাম, বমি বমি ভাব, মাথা হালকা লাগা বা ঘোরা

পুরুষের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণ। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে মাত্র ৩০ শতাংশের বুকে ব্যথা করে। অনেক সময়ই মেয়েদের লক্ষণগুলো এমনভাবে উপেক্ষিত হয় যে, অনেকেই মনে করেন সাধারণ শরীর খারাপ লাগছে।

হার্ট অ্যাটাকে যা করবেন-

হার্ট যখন অপর্যাপ্ত এবং অনিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করে তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। আর হার্ট অ্যাটাকের ১০ সেকেণ্ডের মধ্যেই রোগী অজ্ঞান হতে পারেন। তবে আপনি অজ্ঞান হবেন কি না সেটা আগেই বলে দেওয়া যায় না। যদি শরীরে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো অনুভব করেন কিংবা মনে হয়, হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে- সেক্ষেত্রে প্রথমেই ঘাবড়ে যাবেন না। তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। জ্ঞান হারাবার আগে যে ১০ সেকেণ্ড সময় পান, এই সময়টুকুর মাঝেই নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করুন।

# হার্টবিট অনিয়মিত অনুভূত হলে সাথে সাথে খুব দ্রুত, জোরে এবং ঘন ঘন কাশি দিতে থাকুন। এমনভাবে কাশতে থাকুন যেন কাশির সঙ্গে কফও বের হয়ে আসে।

# প্রতিবার কাশি দে‌ওয়ার আগে লম্বা করে বুক ভরে শ্বাস নিন। এভাবে ঘন ঘন কাশি এবং লম্বা নিঃশ্বাস প্রতি ২ মিনিট পর পর করতে থাকুন। এতে করে আপনার হার্ট কিছুটা হলেও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে শুরু করবে। অর্থাৎ আপনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারাবেন না, অন্তত কেউ আসার আগ পর্যন্ত নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন।

# কাশির ফাঁকেই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করুন। দাঁড়িয়ে থাকলে বসে পড়ুন, বসা থাকলে শুয়ে পড়ুন।

হাসপাতালে নেওয়ার আগে একজন রোগীকে বাঁচাতে অনেক সাহায্য করবে এই টিপসগুলো। কারণ লম্বা নিঃশ্বাস নেওয়ার ফলে শরীরে অক্সিজেন পরিবহন বেশি হবে। আর ঘন ঘন এবং জোরে কাশি দেওয়ার ফলে বুকে যে চাপের সৃষ্টি হয়, তাতে হার্ট পর্যাপ্ত ও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত হয়। হার্ট অ্যাটাকের সময় লম্বা নিঃশ্বাস আর জোরে জোরে কাশি- এই দুটো জিনিসই আপনাকে রক্ষা করার সুযোগ দিবে। কাজেই টিপসগুলো আগেই জেনে নিন এবং জীবন বাঁচান। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত