প্রেমিককে ছোঁয়ায় ‘ইসলামি আইন লঙ্ঘন’ !

হাঁটু গেড়ে বসে আছেন ২২ বছর বয়সের এক তরুণী। তাঁকে বেত্রাঘাত করা হচ্ছে। ব্যাপারটি বেশ ‘উপভোগ’ই করছেন আশপাশে থাকা জনগণ। তরুণী বেতের আঘাতের ব্যথায় চিৎকার দিলেই জনতাও বিদ্রূপ করে বেশ জোরে হাসাহাসি করছে।  করায় সবার সামনে বেত্রাঘাত করা হচ্ছে ওই তরুণীকে। 

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে।    

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে সবাইকে শরিয়া আইন মেনে চলতে হয়। সেখানে জুয়া খেলা, মদ পানের জন্য বেত্রাঘাতের মতো শাস্তির মুখে পড়তে হয়। 

ওই তরুণীর অপরাধ একটি গোপন স্থানে প্রেমিকের সাথে কাটিয়েছেন কিছুটা সময়। প্রেমিককে ছুঁয়েছিলেন তিনি। এমন ব্যাপার ব্যভিচার হিসেবে গণ্য হয় ওই অঞ্চলে। এটা গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। আর তাই সাজা হিসেবে ২৯ বার বেতের আঘাত সহ্য করতে হয়েছে তরুণীকে। আচেহ প্রদেশের রাজধানী বান্ডায় বেতের আঘাতের যন্ত্রণায় তরুণী কুঁকড়ে গেলেও তাতে আনন্দে আত্মহারা উপস্থিত জনতা।         

তবে যার জন্য বেতের আঘাত সহ্য করতে হয়েছে তরুণীকে, ওই ছেলের সাজার ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।   

শরিয়া আইন থাকায় বিয়ের আগে নারী ও পুরুষের মধ্যে সব রকম ঘনিষ্ঠতা, যেমন-পরস্পরকে চুমু খাওয়া বা আলিঙ্গন করা নিষিদ্ধ। সম্প্রতি এমন অপরাধে আটক করা হয় ১৩ জনকে। এদের সবার বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তাদের প্রত্যেককেই শাস্তি দেওয়া হয়।   

ইন্দোনেশিয়ায় শতকরা ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ মুসলমান। সুমাত্রা দ্বীপের আচেহ প্রদেশে শরিয়া আইন যতটা কঠোরভাবে মানা হয় দেশটি অন্যান্য অঞ্চলে তেমনটা দেখা যায় না। ২০০১ সালে স্বায়ত্তশাসন পাওয়ার পর থেকেই আচেহ প্রদেশের মানুষদের কঠোর আইন মেনে চলতে হয়।