৩ লস্কর জঙ্গির ফাঁসির আদেশ

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ১৮:৩৯

সাহস ডেস্ক

লস্কর-ই-তাইয়েবার (এলইটি) তিন জঙ্গিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন মহম্মদ ইউনুস, আবদুল্লা ও মোজাফফর আহমেদ। 

গতকাল শনিবার (২১ জানুয়ারি) বনগাঁর মহকুমা আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। জম্মু-কাশ্মীরের সেনা ছাউনির উপর হামলার ছক এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে জেহাদি যুদ্ধের চেষ্টা করায় বনগাঁ আদালতের বিচারক বিনয় কুমার পাঠক এই ফাঁসির আদেশ দেন। 

২০১৪ সালে এই চার জঙ্গিকে মুম্বাইয়ের একটি আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেন থেকে পালিয়ে যান শেখ সমীর। তাঁকে এখনো খুঁজছে পুলিশ। তাঁদের একজন ছিলেন লস্করের আত্মঘাতী বাহিনীর সদস্য। গত মঙ্গলবার বনগাঁ আদালত তিন জঙ্গিকে দোষী সাব্যস্ত করেন। গতকাল তাঁদের ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল চার জঙ্গি করাচি থেকে ঢাকা হয়ে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকেন। বিএসএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনগাঁর ছয়ঘরিয়া এলাকার পরিত্যক্ত একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ওই চারজনকে। এরপর তাঁদের তুলে দেওয়া হয় বনগাঁ থানার হাতে। এক বছর পর মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে ভুয়া পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, ভারতের বিভিন্ন মানচিত্রসহ নানা ধরনের নথি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, তাঁরা কাশ্মীরের সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানোর জন্য ছক করেছিলেন।

চার জঙ্গির মধ্যে দুজন পাকিস্তানি এবং দুজন ভারতীয়। এর মধ্যে একজন ভারতীয় জঙ্গি মুম্বাইয়ের একটি আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে পালিয়ে যান। বাকি তিনজনকে দেশদ্রোহ ও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। মহম্মদ ইউনুস ও আবদুল্লার বাড়ি পাকিস্তানের করাচিতে এবং মোজাফফর আহমেদের বাড়ি পাঞ্জাবে। অপর জঙ্গি হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদের বিস্ফোরণ কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত আওরঙ্গাবাদের বাসিন্দা শেখ সমীর।

আদালতের সরকারি আইনজীবী সমীর দাস জানান, তিনজনই লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি। আদালত এই অপরাধের জন্য তিনজনকেই ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। যদিও তিন জঙ্গি আদালতের কাছে সাজা কমানোর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে তাঁদের ফাঁসির আদেশ দেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত