কাদের মির্জার নামে হত্যা মামলা

বসুরহাট পৌরভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও র‍্যাব

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২১, ০৩:৪০

সাহস ডেস্ক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সিএনজি চালক আলা উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় কাদের মির্জাকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া কাদের মির্জার পৌরভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাত ১১টায় দেখা গেছে, বসুরহাট পৌরসভা ভবন ঘিরে রেখেছেন র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় সিএনজি চালক আলা উদ্দিনের ভাই বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় কাদের মির্জাকে ১ নম্বর এবং তার ভাই সাহাদত হোসেন ও একমাত্র ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিকসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাদের মির্জা পৌরভবনে অবস্থান করছেন। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীর বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নই।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৮ মার্চ) বিকালে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকাল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের একাংশ (মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ)। সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার পশ্চিম পাশের সড়ক (মাকসুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) দিয়ে সভায় হামলার চেষ্টা চালায় মির্জার সমর্থকরা। এসময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ সংঘর্ষ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৮টার দিকে মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকরা বসুরহাট বাজারে একটি মিছিল বের করলে বাদলের সমর্থকদের সঙ্গে পুনরায় সংঘর্ষ হয়। পরে কাদের মির্জার অনুসারীরা বসুরহাট পৌরসভা ভবন ও প্রাঙ্গণে অবস্থান নিলে বাদল গ্রুপের লোকজন ফের হামলা চালায়। এসময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময় শুরু হয়। উভয় পক্ষের গুলিতে ২০ জন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে রাত পৌনে ১১টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে উপজেলার চরকালী গ্রামের মোমিনুল হকের ছেলে আলাউদ্দিনকে (৩০) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত